ভয়াবহ খরার কবলে বিপর্যস্ত কেপটাউন

ডেস্ক: গত তিন বছরে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউন পানিহীন শহরে পরিণত হতে যাচ্ছে। ফলে ভয়াবহ সমস্যার মুখোমুখি হবেন সেখানকার মানুষ আর পর্যটকরা। আর এতে পর্যটনে ধ্বস নামার আশঙ্কা করছে কেপটাউন কর্তৃপক্ষ।

পাহাড়ঘেরা আর নীল পানির সাগরের তীরে গড়ে ওঠা দক্ষিণ আফ্রিকার নজরকাড়া শহর। পরিচিত রোদ্রৌজ্জ্বল নগরী হিসেবেও। টেবিল মাউন্টেন, আফ্রিকান পেঙ্গুইনের কারণেই বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রে থাকা জায়গাগুলোর মধ্যে কেপটাউন একটি। আর তাই সেখানে সারাবছরই লেগে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা।

কিন্তু এখন সেই শহরটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বের প্রথম পানিহীন শহরে। সাম্প্রতিক উপাত্তগুলো আভাস দিচ্ছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত খরার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে কেপটাউনবাসী এবং পর্যটকরা। এ সংকটের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, গত তিনবছরে ইতিহাসের সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে সেখানে। অন্যদিকে শহরটিতে দিনে দিনে জনসংখ্যা বেড়েই চলছে।

কেপটাউনের বর্তমান জনসংখ্যা ৪০ লাখের বেশি। খরার মুখোমুখি হওয়ায় স্থানীয়দের সংরক্ষণ করা পানি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। তাও আবার দিনে কোনোভাবেই ৮৭ লিটারের বেশি নয়। খাবার, গোসল কিংবা আনুষঙ্গিক সব দরকারের জন্যই এটুকুই বরাদ্দ। গাড়ী ধোয়া বা সুইমিং পুলে পানি রাখাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আগামী ১২ এপ্রিল নির্ধারিত আছে ডে-জিরো হিসেবে। যার অর্থ সেদিন কেপটাউনের পানি সরবরাহ সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। তবে ডে-জিরোকে বিলম্বিত করতেই বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ নিচ্ছে নগর কর্তৃপক্ষ। যার মধ্যে রয়েছে : দুমিনিটে গোসল, প্রয়োজন ছাড়া টয়লেট ফ্ল্যাশ নয়, শাওয়ার বা বেসিনে ব্যবহৃত পানি গাড়ি ধোয়ার কাজে পানি ব্যাবহার না করা ইত্যাদি।