দেশ থেকে ১০ বছরে ৬ লাখ কোটি টাকারও বেশি পাচার

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ‘গ্লোবাল ফিন্যানশিয়াল ইন্টেগ্রিটি’- জিএফআই’র সবশেষ প্রতিবেদনের তথ্য মতে, ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ৭ হাজার কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছে, অবৈধ উপায়ে উপার্জিত টাকা এদেশে খরচ করতে না পারা এবং বিনিয়োগ পরিবেশ না থাকায় পাচারের প্রবণতা বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আলোচিত ‘হলমার্ক গ্রুপ’, ২০১১ সালে সোনালী ব্যাংকে ভুয়া এলসি খুলে এক দিনেই বিদেশে পাচার করে ১৫শ’ কোটি টাকা। একই বছর বিসমিল্লাহ গ্রুপও একই পদ্ধতিতে দেশের ৫টি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে মালয়েশিয়ায় পাঠায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা জিএফআই’র সাম্প্রতিক এক গবেষণা বলছে, ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের নানা দেশে পাচার হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে কেবল ২০১৪ সালেই পাচার হয়েছে ৭২ হাজার ৮৭২ কোটি। আর ১০ বছরে গড়ে পাচারের পরিমাণ ৪৩ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা। বিশ্বের ১৯০টি দেশের মধ্যে পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৬তম।

অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, অতিমাত্রায় দুর্নীতি, বিনিয়োগের পরিবেশের অভাব ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার কারণে টাকা পাচার হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, বিশাল অংকের টাকা পাচারের কারণে দেশ একদিকে হারাচ্ছে কাঙ্খিত বিনিয়োগ, অন্যদিকে স্থবির হয়ে পড়ছে উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, পাচার ঠেকাতে এখনই সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।