বাংলাদেশে আইএসের কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই -স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইএস-এর কথিত বাংলাদেশ প্রধানের সাক্ষাৎকার প্রকাশ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। বাংলাদেশে আইএসের কোনো সাংগঠনিক ভিত্তি নেই, তবে তাদের অনুসারী থাকতে পারে।’

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এ সব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইএসের অস্তিত্বেরও কোনো কিছু পাওয়া যায়নি এদেশে। তবে তারা যেন এদেশে ঘাঁটি গড়তে না পারে সেজন্য সরকারের সংস্থাগুলো কাজ করছে।

বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০১৫ তে বলা হয়, গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মানবাধিকার সমস্যা।

এতে বলা হয়, নিরাপত্তাবাহিনী আইনের অপপ্রয়োগ করছে এবং দায়ী লোকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট’র (আইএস) সাংগঠনিক কোনো অস্তিত্ব নেই বলে আবারো মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

বুধবার ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মুখপাত্র সাময়িকী ‘দাবিক’-এ প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে সংগঠনের বাংলাদেশ শাখার কথিত প্রধান শেখ আবু-ইব্রাহিম আল-হানিফ জানান, বাংলাদেশে ঘাঁটি গড়ে পাশের দেশে হামলা চালাতে চায় আইএস।

সংগঠনটি বলছে, বাংলাদেশের মধ্যে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করতে পারলে, সেখান থেকে তারা ভারত-মিয়ানমারে বড় ধরনের হামলা পরিচালনা করতে চায়।

প্রথমবারের মতো আইএস তার ‘বাংলার যোদ্ধা’ দলের প্রধানের পরিচয় প্রকাশ করেছে।

সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। তবে, জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, আইএস নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ। এর কোনো ভিত্তি নেই। এই ষড়যন্ত্রের অন্যতম উদ্দেশ্যে হলো এদেশে যে জঙ্গি আছে তা প্রমাণ করা। তবে এটা কোনোদিনই সম্ভব হবে না।

তিনি বলেন, বিদেশি শক্তির কিংবা কোনো বিদেশি মতাদর্শী লোকদের এখানে ঘাঁটি গেড়ে প্রতিবেশী দেশে আক্রমণ করতে দেওয়া হবে না।