টিআইবির সম্পদের বিবরণ প্রকাশের দাবি জয়ের

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) সম্পদের বিবরণ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেছেন, টিআইবি সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করে এটা প্রমাণ করুক যে তারা তাদের চিলি শাখার মতোই দুর্নীতিগ্রস্ত নয়।
পানামা পেপারস কেলেঙ্কারিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল চিলি শাখার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে বুধবার তাঁর ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ জয় এ দাবি জানান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাসহ যেকোনো ব্যক্তির অধিকার রয়েছে টিআইবির স্বচ্ছতা সম্পর্কে জানার বা প্রশ্ন করার। আমরা একে স্বাগত জানাই। টিআইবির সব আয়-ব্যয় বা সম্পদের তথ্য সরকারের কাছে রীতিমতো জমা দেওয়া হয়, যা জনগণের জ্ঞাতার্থে আমাদের ওয়েবসাইটেও প্রকাশিত রয়েছে। আর টিআইবির বোর্ড এবং নির্বাচিত পরিচালকদের সম্পদের বিবরণও ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রয়েছে।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টিআইয়ের চিলি শাখার প্রধান দুর্নীতিগ্রস্ত এটা ঠিক নয়। পানামা পেপারসে তাঁর নাম আসার পরপরই টিআইয়ের পরিচালনা বোর্ড তাঁকে পদত্যাগ করতে বলেছে। এখনো তাঁর দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত হয়নি।

ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে সজীব ওয়াজেদ লেখেন, ‘একটা বিষয় আমি উত্থাপন করতে চাই, সেটা হলো সম্প্রতি চিলির ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের প্রধানের পদত্যাগ। বিদেশে সম্পদ লুকানোর বিষয়ে তার নাম এসেছিল পানামা পেপারসে। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল কতটা স্বচ্ছ এবং অন্যদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলার অধিকার তাদের কীভাবে থাকে?’
সজীব ওয়াজেদ তাঁর দেওয়া স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, ‘আমাদের দেশে সব সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের সম্পদের বিবরণ দিতে হয়। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ নিজেদেরটা দেয় না। তথাপিও তারা তাদের দুর্নীতির পর্যবেক্ষক বলে দাবি করে। আমরা কী করে জানি যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাদের কোনো লুকানো সম্পদ নেই এবং তারা তাদের সব ট্যাক্স পরিশোধ করেছে? তাদের যদি সাহস থাকে, তবে অন্যের দুর্নীতির বিষয়ে মন্তব্য করার আগে তাদের স্বেচ্ছায় নিজেদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশ করা উচিত। আমার সন্দেহ আছে যে তাদের সেই সাহস রয়েছে কি না। তাই মনে হয়, একটি আইন থাকা প্রয়োজন। যে কেউ দুর্নীতির বিষয়ে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে, তাদের নিজেদের সম্পদের বিবরণ দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করে নিতে হবে, ঠিক যেমন এমপিদের করতে হয়।’