ইসকন বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

ইসকন বন্ধের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ

নিউজ ডেস্ক : ভোলার বোরহানউদ্দিনে নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার শান মুবারকে  কটূক্তি ও মুসল্লিদের ওপর গুলির প্রতিবাদে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউন হল এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে মুসল্লিরা।

বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ ঘটনায় দায়ীদের ফাঁসি, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেস (ইসকন) বন্ধ ও বোরহানউদ্দীনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে মোহাম্মদপুরের টাউন হলের আল্লাহ্ করিম মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন সড়কে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় টাউন হল থেকে মোহাম্মাদপুর ও রিং রোডের রাস্তা অবরোধ করে মুসল্লিদের একাংশ।

বিক্ষুব্ধ মুসল্লিরা জানান, অতি দ্রুত বিচারের মাধ্যমে বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিপ্লব চন্দ্র সাহাকে ফাঁসি দিতে হবে। এই কাজে আরও যারা জড়িত তাদেরকেও ফাঁসির আওতায় আনতে হবে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিচার করতে হবে।

তারা আরও জানান, বোরহানউদ্দিনে আলেম সমাজ যে কর্মসূচি ঘোষণা করবে তার সঙ্গে আমাদের একাত্মতা থাকবে। পরে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।

পুলিশ জানায়, বিক্ষোভে তারা ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণা কনসাসনেসের (ইসকন) কার্যক্রম বন্ধের দাবি তুলেছেন।

মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক এএসআই বাদল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রসঙ্গত, ফেসবুকে নূরে মুজাসসাম হাবিবুল্লাহ হুজুরপাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনাকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরের ঈদগাহ মসজিদ চত্বরে রবিবার (২০ অক্টোবর) তৌহিদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ডাকা হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে সকাল ১০টার মধ্যেই সংক্ষিপ্ত মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শেষ হয়। পরে সেখানে আসা লোকজন মোনাজাত পরিচালনাকারী দুই ইমামের ওপর চড়াও হন। এতে বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় মুসল্লিরা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি ছুড়লে চার ব্যক্তি নিহত ও দেড় শতাধিক আহত হন। আহতদের বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

নিহতরা হলেন- বোরহানউদ্দিন উপজেলার আব্দুল পাটওয়ারী (১৪), বোরহানউদ্দিন পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (৪০)। এছাড়া দুপুর আড়াইটার দিকে আব্দুল গণি নামের আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, এ ঘটনার জেরে রবিবার বিকালে ভোলা প্রেস ক্লাবের সামনে মুসলিম ঐক্য পরিষদের নেতারা ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন।

দাবিগুলো হচ্ছে- ধর্ম অবমাননা করায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসি কার্যকর, নিহতদের লাশ বিনা পোস্টমোর্টেমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর, আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা, ভোলার পুলিশ সুপার ও বোরহানউদ্দিনের ওসিকে প্রত্যাহার, নিহতদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও গ্রেফতারকৃতদের বিনাশর্তে মুক্তি দেওয়া।