নদীতে কোটি টাকা ব্যয়ের পরও অস্তিত্ব সংকটে!

নদীতে কোটি টাকা ব্যয়ের পরও অস্তিত্ব সংকটে!

বরগুনা সংবাদদাতা: বরগুনা নদী বন্দর সচল রাখতে প্রায় প্রতি বছর সরকার লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে খাকদোন নদ খনন করে। কিন্তু অব্যাহত দখলের আর দূষণের কারণে খাকদোন নদের নাব্যতা ধরে রাখা যাচ্ছে না। এতে নাব্যতা ও অস্তিত্ব সংকটের মুখে পরেছে নদীটি ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক সময় নদীটি প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। বিশখালী থেকে উঠে আসা এই নদীটি পূবে পায়রা নদীর সঙ্গে মিশেছে।এক সময় এই নৌ পথ দিয়ে পাশ্ববতী জেলা পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় নৌযান চলাচল করতো বলে জানান তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,এ নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ২০১০ সাল থেকে২০১৫ পর্যন্ত তিনবার খনন করা হয়। খননের কয়েক মাসের যেতে না যেতে আবার জোয়ারে-পলি পড়ে নদ ভরাট হয়ে যায়। এছাড়া নদের দুই পাশ দখলের কারণে নদটি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। এছাড়া খাকদোন নদের সঙ্গে শাখা খাল গুলোর প্রবেশদ্বারে স্লুইজ গেট নিমাণ করায় জোয়ারের পানির প্রবাহ কম থাকায় পলি পরে নদী ভরাট হয়ে যায়।

সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের সূত্রে জানা গেছে, খাকদোন নদের দুইপাড় খাজুরতলা মৌজার অন্তর্ভুক্ত। ভূমি অফিসের জরিপ মতে, পোটকাখালী এলাকা থেকে মাছ বাজার ব্রীজ পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে নদীর দক্ষিন পাড়ে জরিপ (সার্ভে)করে সীমানা চিহিৃত করা হয়েছে। তবে সেখানে বর্তমানে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে স্থাপনা রয়েছে দুই হাজারের বেশি। খাকদোন নদীর দক্ষিণ পাড়ের পিলার স্থাপনের (সীমানানিধারণ) কাজ শুরু হয়।