সুপ্রীমকোর্টের অবকাশের পর আজাহারুলের রায়

সুপ্রীমকোর্টের অবকাশের পর আজাহারুলের রায়

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত জামাতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও আলবাদর কমান্ডার এটিএম আজাহারুলের মৃত্যুদন্ড থেকে খালাস চেয়ে আপীলের রায় অবকাশের পর ঘোষণা করা হতে পারে । রাষ্ট্রপক্ষ এমনই আশাবাদ ব্যাক্ত করেছে।

পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেয়া দন্ডের বিরুদ্ধে আরো ৩০টি মামলা আপীল শুনানি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এটিএম আজাহারুলের মামলাটি উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে রায় ঘোষনার জন্য ১০ জুলাই সিএভি (অপেক্ষমান) রাখা হয়।

এ প্রসঙ্গে ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন বলেন , আশা করছি সুপ্রীমকোর্টের অবকাশের পর এ মামলাটির রায় ঘোষণা হতে পারে। অবকাশ শেষে ১৩ অক্টোবর সুপ্রীমকোর্ট খুলবে। খোলার পর হয়তো আমরা এ রায়টি পাবো বলে আশা করছি।
এদিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার রঞ্জু মিয়া সহ পাঁচ রাজাকারের রায় যে কোন দিন ঘোষণা করা হবে।

রায় ঘোষনার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রেখেছে ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে ২১ জুলাই চেয়ারম্যান বিচারক শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল -১ এ আদেশ প্রদান করেছে। এটি হবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ৪০ তম রায়। অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরধ ট্রাইবুনাল-১ একাত্তরে রংপুর জেলা আলবদর বাহিনীর কমান্ডার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করে ট্রাইবুনাল।

তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের ৬টি অভিযোগের মধ্যে হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অগ্নিসংযোগ ও লুণ্ঠনের ৫টি অভিযোগই প্রমানিত হয়। এর মধ্যে ৩টি অভিযোগে ফাঁসি, ২টিতে ৩০ বছরের কারাদন্ড ও একটিতে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় খালাস দেয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারক এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল -১ এ রায় ঘোষনা করে। ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদন্ডের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আপীল করে আজহারুল সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার আইনজীবীরা এ আপীল করে। আপীলে খালাস চায় সে।