২ লাখ রোহিঙ্গাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে মিয়ানমারে পাঠানো দরকার: ফজলুর রহমান

ডেস্ক: বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২ লাখ রোঙ্গিাকে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে মিয়ানমারে পাঠানো দরকার বলে মনে করছেন বিজিবি’র সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব) আ ল ম ফজলুর রহমান। শনিবার বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলের টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।

ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের ডিপ্লোমেটিক লাইনটা হওয়া উচিৎ যাতে ইউএন (জাতিসংঘ) থেকে ফোর্স পাটানো হয় রাখাইনে। এতে একটা লাইন ড্র হবে যাতে মিয়ানমার আলাদা হয়ে যাবে আর বাংলাদেশ আলাদা হয়ে যাবে। বাংলাদেশে যে সকল রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিয়েছে তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি মনে করি অতিদ্রুত বাংলাদেশের উচিৎ ইউএন মিশন করা, যাতে শান্তি মিশন ইনভলভ হয়।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যেতে না পারে সেদিকে কঠোর নজর রাখা উচিত। বিশেষ করে তারা যেন ভবিষ্যতে সন্ত্রাসী কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারে। রোহিঙ্গারা এধরনের সম্পর্ক গড়ে তুললে বাংলাদেশকে বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে। তিন বলেন, একই সঙ্গে কক্সবাজারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি ডিভিশন ফুল ইকুইভমেন্ট অ্যাটাক হেলিকপ্টারসহ ইমিডিয়েটলি সেখানে মুভ করা উচিৎ। এধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার আমাদের প্রস্তুতির জন্যে। এছাড়া বিজিবির চারটি ব্যাটিলিয়ন সেখানে রাখা উচিৎ জরুরি প্রস্তুতির জন্যে।

জেনারেল ফজলুর রহমান বলেন, ৫০’এর দশক থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু করেছে মিয়ানমারের সরকার। এই দুঃখ দুর্দশা ১৯৭৮ থেকে দেখে আসছি। এটা আর কত দিন চলবে? মিয়ানমার এমন ফাজলামি করবে আর আমরা এটা মেনে নেব তা হতে পারে না। যদি মিয়ানমার সংযত না হয় তাহলে আমরা কি করবো? আমরা সারাজীবন তাদেরকে খাওয়াতে থাকব? আর নানা ধরনের ক্রাইম শুরু হবে? এটা আমরা করতে পারি না। আমি মনে করি শরণার্থী রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রেখে সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে অন্তত ২ লাখ ফোর্স তৈরি করা দরকার। অতপর ব্যাক বাই আর্মি মিয়ানমারে পাঠিয়ে রাখাইন প্রদেশটাকে বাংলাদেশের অংশ করে নিয়ে নিতে হবে। ফজলুর রহমান বলেন, এই রোহিঙ্গাদের দিয়ে আমরা কি করব? এটা একটা মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। মনে হয়না মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে আর ফেরত নেবে। তাহলে তাদেরকে দিয়ে আমরা কি করব? মিয়ানমার থেকে যখন রোহিঙ্গাদের বের করে দেওয়া হচ্ছিল তখন সীমান্তে আমাদের সেনাবাহিনীর একটা ডিভিশন মুভ করা উচিৎ ছিল।

যেমন যথেষ্ট হেলিকপ্টার, ফাইটার এয়ার কক্সবাজারে প্লেস করা হত। যুদ্ধের জন্য নয়। ঠিক একটা তাৎক্ষণিক তৎপরতা আমাদের সীমান্তের মধ্যে নেয়া। তাহলে মিয়ানমার একটা ম্যাসেজ পেতো। বাংলাদেশ সহজে ছেড়ে দিবে না। এই যে মিয়ানমার থেকে যে রোহিঙ্গাদের ঢুকানো হচ্ছে, বাংলাদেশ মেনে নিচ্ছে না।