যৌনদাসী না হওয়ায় ১৯ ইযাদি তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করল ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী আইএস

ডেস্ক: ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরে ১৯ ইযাদি তরুণীকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করেছে উগ্র সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আইএসআইএল বা দায়েশ।

স্থানীয় সমাজকর্মী আব্দুল্লাহ আল-মাল্লা কুর্দি বার্তা সংস্থা এআরএ নিউজকে বলেছেন, মসুলের কেন্দ্রস্থলে এই ১৯ ইযাদি তরুণীকে লোহার খাঁচায় ঢুকিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় দায়েশ (আইএসএল)। শত শত মানুষের সামনে এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালায় ইহুদীদের অনুচরখ্যাত এই উগ্র সন্ত্রাসবাদীরা। এসব তরুণীর অপরাধ ছিল তারা দায়েশ সন্ত্রাসবাদীদের যৌনদাসী হতে রাজি হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “শত শত মানুষের চোখের সামনে ১৯ তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কারো পক্ষে তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করা সম্ভব ছিল না।”

এর আগে কুর্দি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি বা কেডিপি’র মুখপাত্র সাঈদ মামুজিনি গত এপ্রিলে জানিয়েছিলেন, দায়েশ জঙ্গিদের সঙ্গে অস্থায়ী বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তারা মসুল শহরে ২৫০ নারীকে হত্যা করেছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে দায়েশ সন্ত্রাসীরা তাদের নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির নির্দেশে শত শত অ-ইরাকি নারীকে মসুলে নিয়ে আসে তাদের যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।

কিন্তু এ কাজ করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে ওই বছরের ১৫ জুলাই ১৯ নারীকে হত্যা করে জঙ্গিরা। পরের মাসে আরো ১৫ জন নারীকে একই অভিযোগে হত্যা করা হয়।

২০১৪ সালের জুন মাসে ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমের বিশাল এলাকা দখল করে নেয় দায়েশ। তখন থেকে নিজেদের দখলীকৃত এলাকায় ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ চালায় তারা। এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে পরাজিত করার লক্ষ্যে ইরাকের সেনাবাহিনী বর্তমানে দায়েশ বিরোধী জোরদার অভিযান চালাচ্ছে।#