‘তথ্যপ্রযুক্তিতে বিদেশ নির্ভরতা দেশকে অচল করে দিতে পারে’

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: রিজার্ভ চুরির বিষয়টি উল্লেখ করে বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেছেন, এ ঘটনা আমাদের সতর্ক হওয়ার জন্যে যথেষ্ট। কিন্তু সতর্ক হয়ে কোনো প্রস্তুতি নেয়ার মত উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। ডিজিটাল দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আমরা ক্রমশ ভারত, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনামের তথ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। এভাবে চলতে থাকলে বছর পাঁচেকের মধ্যে পুরোপুরি বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়তে হবে। অথচ আমাদের ছেলে ও প্রতিষ্ঠানগুলো আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন কাজ করছে পাল্লা দিয়ে। সিলিকন ভ্যালি, গুগল, মাইক্রোসফটের মত স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে তারা কাজ করছে। তাদের দেশের কাজে লাগানোর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।

রোববার সকালে দৈনিক অর্থনীতি কার্যালয়ে আয়োজিত বৈঠকে মোস্তফা জব্বার একথা বলেন। মোস্তফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বড় ধরণের ঝুঁকি আসলে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলা করার মত সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। এজন্যে বিদেশিদের পেছনে মিলিয়ন ডলার খরচ কমিয়ে তা দেশেই ধারাবাহিকভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি। এ ধরনের সক্ষতা অর্জন করতে না পারলে শুধু রিজার্ভ চুরি নয় রাষ্ট্রীয় ও অর্থনৈতিক গোপনীয় তথ্য চুরি করে দেশকে অচল করে দেয়ার মত ঘটনা ঘটলেও কিছুই করার থাকবে না।

তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারে শুধু ডিজিটাল এ্যাক্ট বা আইন করলে চলবে না এ প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের আরো সাবধানতা অবলম্বন ও সচেতন হতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ফেসবুক ব্যবহারে অনেক সমস্যা ছিল বর্তমানে তা কমে আসলেও নিত্য নতুন ঝুঁকি বাড়ছে। দেশে ফেসবুক ব্যবহারকারী বাড়ছে, তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার বাড়ছে সেই সঙ্গে ভয়ঙ্কর ধরনের নির্যাতন থেকে শুরু করে তথ্য প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে হ্যাকিং’এ ঘটনাও বাড়ছে। এমনকি ডিজিটাল প্রযুক্তিতে লেনদেনের ক্ষেত্রে রীতিমত চাঁদাবাজী চলছে। সুনাম ক্ষুণ্য হবে এমন ভয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান এ ব্যাপারে মুখ খুলছেন না কিন্তু এধরনের অপব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। এজন্যে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বর্ম সৃষ্টিরও তাগিদ দেন তিনি। তা না হলে দেশ অচল করে দিতে পারে হ্যাকাররা। এর সঙ্গে রাজনৈতিক ও বিদেশি ষড়যন্ত্র জড়িত হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারকারীরা কোনো বিপদে পড়লে কার কাছে অভিযোগ করতে হবে সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নেই। ডিজিটাল অপরাধ আইন নেই। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সঙ্গে অপরাধও বাড়ছে। নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। ডিজিটাল নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আরো জরুরি হয়ে উঠছে।