মামলা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নয়, মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে : জয়
ঢাকা: “এটা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয়, এটা ফৌজদারি মামলাও নয়। এটা হলো দেওয়ানি মামলা। আধুনিক আইনি ব্যবস্থাসম্পন্ন সব দেশেই এটা ঘটে। আপনি যদি কারও ক্ষতি করেন, সংক্ষুব্ধ পক্ষ আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করার সব ধরনের অধিকার রয়েছে। মাহফুজ আনাম যদি হয়রানি করেন, মিথ্যা অভিযোগে ১১ মাস জেলে কাটানোর অনুভূতি কী তা তারও জানা উচিত।” শুক্রবার ভোরে নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে দেয়া এক স্ট্যাটাসে একথা লিখেন প্রধানমন্ত্রী তনয়া ও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়।
সাংবাদিকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “যদিও এই পেশার লোকেরা সামান্য জবাবদিহিতাও চান না। তার বদলে তারা একে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আখ্যা দিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চান।” মিথ্যা খবর ছাপানো ও অন্যের সুনাম ক্ষুণ্নের আগে সাংবাদিকদের দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের পক্ষ নেয়ায় সুশীল সমাজের সমালোচনা করেছেন জয়।
তিনি লিখেছেন, “আমাদের ‘সুশীল সমাজের’ কিছু অংশ এবং কয়েকটি সংবাদপত্রের সম্পাদক আমার মায়ের বিরুদ্ধে মাহফুজ আনাম কর্তৃক চালানো মিথ্যা সাজানো প্রচারণার স্বীকারোক্তির পর তার বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলাগুলোর সমালোচনা করছেন। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেনি। মামলাগুলো সবই দেওয়ানি প্রকৃতির,যা খেসারত এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে দায়ের করা।”
জয় প্রশ্ন রেখে বলেন, “আমি জানতে চাই, যা কিছু ঘটেছে তাতে গণমাধ্যমকে দায়মুক্তি দেয়া যায় কিনা? মাহফুজ আনাম স্বীকার করেছেন, কেবল একটিই নয়,এসব মিথ্যা কাহিনী ধারাবাহিকভাবে তিনি আমার মায়ের বিরুদ্ধে,জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডের ফলে আমার মা তার এই বয়সে ১১ মাস জেলে কাটিয়েছেন। এত সবকিছুর পর তিনি বলেন, ‘ওহ হো,আমার ভুল হয়েছে!’ এবং আমাদের সেসব ভুলে গিয়ে এগুতে হবে?”
তিনি বলেন, “আমার মা,আমার পরিবার এবং আমাদের দল আওয়ামী লীগ কোনো বিচার পাবে না? সেখানে কোনোই জবাবদিহিতা থাকা উচিত না?”
সজীব ওয়াজেদ জয় আরও লিখেন, “রাজনীতিকদের আইন মেনে চলতে হবে, নয়তো জেলে যেতে হবে। পুলিশকে আইন মেনে চলতে হবে, নতুবা জেলে যেতে হবে। কিন্তু মিথ্যা কাহিনী লেখার জন্য কোনো আইন থাকবে না? দেওয়ানি আইনে রাজনীতিক এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া। অন্য কিছু যদি নাও হয়,শুধুমাত্র উকিল খরচ এবং আদালতে যাওয়ার সময় বিবেচনায় একজন সাংবাদিককে মিথ্যা ছাপানো এবং অন্যের সুনাম ক্ষুণ্নের আগে দ্বিতীয়বার ভাবা উচিত। যদিও, এ পেশার লোকেরা জবাবদিহিতাকে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আখ্যা দিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চান।”