মানুষের ওপর বিতর্কিত পরীক্ষায় তোপে জার্মান গাড়ি নির্মাতারা

ডেস্ক: মানুষ ও বানর ব্যবহার করে বিতর্কিত পরীক্ষা চালানোর জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সওয়াগন ব্যাপক প্রতিবাদ ও তোপের মুখে পড়েছে। ডিজেল নিঃসৃত যে ধোঁয়া থেকে অ্যাজমা, ফুসফুসের রোগ এবং হৃদযন্ত্রের ক্ষতি হতে পারে, মানুষ ও বানরকে সেই ধোঁয়ার মুখোমুখি করে কিছু পরীক্ষা পরিচালনায় জার্মান প্রতিষ্ঠানটি অর্থ প্রদান করেছে এ অভিযোগ ওঠার পরই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন। খবর এএফপি।

জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল কড়া ভাষায় দেশের শক্তিশালী এ শিল্পখাতের সমালোচনা করেছে। মেরকেলের মুখপাত্র স্টিফেন সেইবের্ট বলে, বানর এমনকি মানুষের ওপর এ পরীক্ষাকে নীতিগত দিক দিয়ে কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত বলা যায় না। এর ফলে মানুষের মনে যে ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম হয়েছে, তার কারণ সহজেই বোঝা যায়।

সোমবার জুদডয়েচে এবং স্টুডগার্টার সাইটুং দৈনিকের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফক্সওয়াগন, ডাইসলার ও বিএমডব্লিউ একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাস গ্রহণ করলে কী প্রভাব পড়ে, সেটি পরীক্ষা করার জন্য অর্থ প্রদান করেছে। সে পরীক্ষায় ২৫ জন সুস্থ মানুষ অংশ নেয়।
এর মাত্র কিছুদিন আগে নিউইয়র্ক টাইমস (এনওয়াইটি) লিখেছিল, একই প্রতিষ্ঠান ২০১৪ সালে বানরের ওপর এ পরীক্ষা চালিয়েছিল।

এনওয়াইটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকরা ১০টি বানরকে একটি বায়ুনিরোধক কক্ষে আটকে রাখে এবং ডিজেল নিঃসৃত গ্যাস গ্রহণ করতে বাধ্য করে। ফক্সওয়াগন এ সপ্তাহান্তে প্রাণীর ওপর এ ধরনের পরীক্ষা করার জন্য ক্ষমা চায় এবং বলে গ্রুপটি ‘সব ধরনের প্রাণী নিপীড়ন থেকে নিজেদের দূরে রাখে’।

জার্মানির ভারপ্রাপ্ত পরিবহনমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান স্মিট জানায়, জার্মান সরকার এ বিষয়ে এক বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করে এবং সেখান থেকে তারা এ পরীক্ষার সঙ্গে নিযুক্ত গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে। সে বলে, এ বিষয়ক খবর আবারো গাড়ি শিল্পের ওপর রাখা আস্থা ধ্বংস করে দিল।