৭ হাজার কোটি টাকার পাটপণ্যের বাজার তৈরির প্রত্যাশা

নিজস্ব প্রতিবেদক : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পাটকে বিশ্ববাজারে জায়গা করে নিতে বহুমুখী পাটপণ্যের আরো বেশি প্রসার ঘটাতে হবে। ঠিকভাবে কাজ করলে ৭০০ কোটি কেন, আমার তো মনে হয়, আন্তর্জাতিকভাবে ৭ হাজার কোটি টাকার বহুমুখী পাটপণ্যের বাজার তৈরি করা সম্ভব।

রোববার রাজধানীর মনিপুরিপাড়ার জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে দেশীয় উদ্যোক্তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে। উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করা হলে তারা আরো নতুন নতুন বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবেন।

তিনি বলেন, সারা বিশ্ব এখন প্লাস্টিককে বর্জন করছে। ধীরে ধীরে পাটের জনপ্রিয়তাও বাড়ছে। জেডিপিসির উদ্যোক্তাদের ওপর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আস্থা আছে। বাণিজ্য মেলায় জেডিপিসির স্টলে গিয়ে বুঝেছি তারাই পারবে। পাট দিয়ে এখন সব রকমের পণ্য তৈরি হচ্ছে। পাটের বাজার ধরতে হলে বহুমুখী পাটপণ্যকে কাজে লাগতে হবে।

প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার বর্জন করে পাটপণ্যের দিকে যেতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য ব্যবহার করলেই পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।তিনি বলেন, পাটপণ্য প্রদর্শনের জন্য স্থায়ীভাবে জায়গা দেওয়া যায় তাহলে মানুষ বুঝবে এখানে বহুমুখী পাটপণ্য পাওয়া যায়। এতে ক্রেতা বা সাধারণ মানুষও বহুমুখী পাটপণ্য সম্পর্কে জানতে পারবে।

জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক রীনা পারভীন বলেন, ‘বর্তমানে বহুমুখী পাটপণ্যের স্থানীয় বাজার ১০০ কোটি টাকা। দেশের বাইরে বহুমুখী পাটপণ্যের ৭০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। খাতটিতে বর্তমানে উদ্যোক্তার সংখ্যা ৭ শত। আর আমরা এখন ২৮০ ধরনের পাটপণ্য তৈরি করছি। পাট থেকে এখন কাগজও তৈরি হচ্ছে। ভিজিটিং কার্ড ও ডায়েরি তৈরিতে পাটের কাগজ ব্যবহৃত হচ্ছে, যা নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মিজানুর রহমান, বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তা ও জেডিপিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা মতবিনিময়ে অংশ নেন।সভা শেষে মন্ত্রী জেডিপিসি সেন্টারে অবস্থিত বহুমুখী পাটপণ্যের বিক্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।