৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপলো বাংলাদেশ, ব্ যাপক ক্ষতি মিয়ানমারে

ঢাকা: মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সকালের হালকা ধরনের ভূমিকম্পের পর আজ বুধবার বিকেলে ৬.৮ মাত্রার শক্তিশালী আরেকটি ভূমিকম্প আঘাত হানলো। তবে এর উৎপত্তিস্থল ছিল মায়ানমারের মধ্যাঞ্চলে। এ কারণে কেঁপে উঠে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ, লাওস, চীন ও থাইল্যান্ডের সংলগ্ন অঞ্চলও। মিয়ানমারে উৎপত্তি হওয়া এ ভূমিকম্পের আঘাতে বাংলাদেশের কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির হয়নি; তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে মিয়ানমারে। মিয়ানমারের ৬৫ শতাব্দীরও পুরনো ‘পাগান’ খ্যাত মন্দিরসহ শতাধিক বৌদ্ধমন্দির বিধ্বস্ত হয়েছে। বার্তা সংস্থ্যা রয়টার্স জনায়, এ ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ৩ জন নিহত হয়েছে। এতে সহস্রাধিক লোক আহত হয়েছে, হাজার হাজার বাড়িঘর, মন্দির সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়েছে।

এ ভূমিকম্পের আঘাতে কম্পিত দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহত হলেও বরাবরের মতো এবারো বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশে এর আগেও ৭/৮ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, কিন্তু তখনও তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকাল ৪টা ৩৪ মিনিটে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৮। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর্থ অবজারভেটরির তত্তাবধায়ক অধ্যাপক সৈয়দ হুয়ায়ুন আখতার জানান, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিয়ানমারের চাউক অঞ্চলে; কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ৮৪ কিলোমিটার গভীরে।

উল্লেখ্য, আজ ইতালিতেও ৬.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে হয় ৩৮ জন নিহত ও শতাধিক লোক নিখোঁজের সংবাদ প্রকাশিত হয়। অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়।