৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল বাংলাদেশ

ভোর রাতে ভারতের মনিপুর অঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে পুরো বাংলাদেশ।

ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল ইম্ফল থেকে ২৯ কিলোমিটার পশ্চিম উত্তর-পশ্চিম এবং ঢাকা থেকে ৩৫২ কিলোমিটার পূর্ব উত্তর-পূর্বে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি। উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ৫৫ কিলোমিটার গভীরে।

ঢাকাসহ সারা দেশেই এ ভূমিকম্প অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শীতের ভোরে ভূমিকম্পের ঝাঁকুনিতে ঘুম ভাঙার পর অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছেন।

ঢাকার জুরাইনে হুড়োহুড়ির মধ্যে আতঙ্কে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। আহত হয়ে ঢাকা ও সিলেটে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও অন্তত ৬১ জন।

ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা শাহরীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাঁপুনিতে ঘুম ভাঙার পর তিনি ভূমিকম্পের বিষয়টি টের পান। তখনও ঘরের সবকিছু দুলছিল।

“বাবা-মায়ের সঙ্গে আমি দ্রুত নিচে নেমে আসি। এটা খুবই জোরালো ছিল।”

আমাদের ত্রিপুরা প্রতিনিধি পিনাকি দাস জানান, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অধিকাংশ রাজ্যে চার থেকে পাঁচ সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

প্রচণ্ড ঝাঁকুনিতে ইম্ফলের বিভিন্ন ভবনের দেয়াল, সিঁড়ি ও ছাদ ধসে পড়েছে; মনিপুরের অনেকে এলাকায় টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানানো হয়েছে।

ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের ঘর্ষণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে প্রায়ই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। সিলেট অঞ্চল দিয়ে যাওয়া ডাউকি ফল্টের কারণে বাংলাদেশও বড় ধরনের ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে ভূতত্ত্ববিদরা সতর্ক করে আসছেন।