বাংলাদেশের ৪৯% স্কুলশিক্ষার্থী ইন্টারনেটে হয়রানির শিকার

Bangladesh-SafeInternet

ঢাকা: বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুলশিক্ষার্থী ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয়রানির শিকার হয়। ব্যক্তির দ্বারা উৎপীড়নের শিকার হওয়ার অথবা উত্ত্যক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের। অথবা তারা নাম প্রকাশ না করে অনলাইনে অন্যকে উত্ত্যক্ত করেছে।

টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিনর গ্রুপ পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। শিক্ষার্থীদের অনলাইনে কার্যক্রম ও আচরণ বিষয়ে ‘নিরাপদ ইন্টারনেট’ শীর্ষক জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় বলে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে টেলিনর। বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলোসহ বিভিন্ন এলাকার ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী একহাজার ৮৯৬ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ইন্টারনেট বিষয়ক জ্ঞান নিয়ে জরিপটি চালানো হয়।

জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অনলাইনে বাংলাদেশের ৪৯ শতাংশ স্কুল শিক্ষার্থীর একই ব্যক্তির দ্বারা উৎপীড়নের শিকার হওয়ার অথবা উত্ত্যক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অথবা তারা নাম প্রকাশ না করে অনলাইনে অন্যকে উত্ত্যক্ত করেছে।’ জরিপের আওতায় আসা ৬১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায় ‘সেক্সটিং’ নামে পরিচিত অশোভন বার্তা না পাঠানোর কথা জানায়।

স্কুল শিক্ষার্থীদের অনেকেই পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে এমন অপরাধামূলক কাজে জড়াচ্ছেন। সাইবার বুলিইংয়ের কারণে তাদের মা-বাবারা উৎকণ্ঠায় থাকেন বলেও জরিপে উঠে এসেছে।

সাইবার জগতে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা সামাল দিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, তারা মনে করে নিজেরা অথবা বাবা-মা ও শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে সমাধান করতে পারবে। তবে এদের মধ্যে মাত্র ৩৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইনে জড়ানো সমস্যা সমাধানে মা-বাবার সাহায্য নেয়ার কথা জানায়। অনেক শিশুই অনলাইনে শব্দ ব্যবহারের প্রভাব সম্পর্কে বুঝে উঠতে পারে না। সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সহজে প্রবেশের সুযোগ থাকায় শিশুরা পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে তাদের জন্য অনুপযোগী ওয়েবসাইট ভিজিট করছে কিংবা অনলাইনে অশালীন ভাষা ব্যবহার করছে।

জরিপে উঠে আসে, ওয়েবসাইটে মাদক, অস্ত্র, আত্মহত্যা এবং আত্মঘৃণার প্রচারণা চালানোর মতো ইন্টারনেটে নতুন কিছু ঝুঁকি বেড়ে গেছে। তবে স্কুলশিক্ষার্থীরা এগুলোকে খুব একটা হুমকি মনে করে না; তাদের বেশিরভাগ এ ধরনের ওয়েবসাইট এড়িয়ে চলে জানায়।