২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য ঘাটতি

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে আমদানি ব্যাপক হারে বেড়েছে, তবে সেই তুলনায় রপ্তানি আয় হয়নি। ফলে বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৯০ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট) যে হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে এ তথ্য উঠে এসেছে। বাণিজ্য ঘাটতির এ অঙ্ক জাতীয় বাজেট অর্থাৎ ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার এক-তৃতীয়াংশের বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময় ঘাটতির এ পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৫২১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

আমদানির তুলনায় পণ্য রপ্তানি কম হওয়ায় বরাবরই বাংলাদেশ বাণিজ্য ঘাটতিতে থাকে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আমদানি ব্যাপক হারে বেড়েছে। আর এতে আমদানি-রপ্তানির মধ্যে বড় ব্যবধান সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে বড় বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়েছে দেশ। তবে এর রেকর্ড আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার হচ্ছে কি না সেই বিষয় নজর দেয়ার কথা বলেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, রপ্তানির তুলনায় আমদানি বেশি। এ কারণেই বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ন্ত। কিন্তু আমাদের যে বিষয়টিতে সতর্ক হতে হবে, তা হলো যেসব আমদানির পেমেন্ট করা হচ্ছে। তা আসলে দেশে আসছে কি না? না কি আমদানির আড়ালে অর্থ পাচার হচ্ছে।

তিনি বলেন, অর্থ পাচারের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কাস্টমস ও এনবিআরকে দেখতে হবে। পণ্য আমদানিতে অনেক রকম ছল-চাতুরী হয়ে থাকে। খালি কন্টেইনার এসে অর্থ চলে যায়। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলোকে এসব বিষয় কঠোরভাবে তদারকি করতে হবে।