হিন্দু রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরার আহ্বান মিয়ানমারের

1200px-Flag_of_Myanmar.svg

 

জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে হিন্দুদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছে মিয়ানমার। রাখাইনের রাজধানী সিটওয়েতে তাদের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেবে কর্তৃপক্ষ। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর ‘ক্লিয়ারেন্স অপারেশন’ শুরুর পর এ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদের মধ্যে ৫০০ জন হিন্দু রোহিঙ্গাও রয়েছে।

মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি’র উপদেষ্ট জ হাতা বলেছেন, হিন্দু গ্রামবাসীদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রাখাইন রাজ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠী বিষয়ক সমন্বয়ক উ বু হ্লা শই। বার্তা সংস্থা মিয়ানমার ফ্রন্টিয়ার’কে তিনি জানান, সীমান্ত এলাকার বেশিরভাগ হিন্দু মংডু শহরের ওহেতীন গ্রামে পালিয়ে গেছে।

ই বোক কিয়ার গ্রামের আরও আট হিন্দু নারী বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫ কিলোমিটার দক্ষিণে রয়েছেন। গ্রামটির বাসিন্দারা ধারণা করেছিলেন, তারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে।

এদিকে বুধবার মিয়ানমার সরকারের তথ্য কমিটির এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, রাখাইনের মংডুতে গত এক মাসের সহিংসতায় মোট ১৬৩ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে নিখোঁজ হয়েছেন ৯১ জন। তবে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মিয়ানমারের তথ্য কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এসব হত্যাকাণ্ড ও নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, রোহিঙ্গা মুসলিম, হিন্দু ও রাখাইনসহ অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মানুষেরাও রয়েছেন।