হলি আর্টিজান মামলার পলাতক আসামি শরিফুল র‌্যাবের হাতে আটক

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পলাতক এক আসামিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার মো. শরিফুল ইসলাম ওরফে খালিদ ওরফে রাহাত ওরফে নাহিদ ওরফে আবু সুলাইমান (২৭) সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ‘নব্য জেএমবির’ শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ র‌্যাব ক্যাম্পের ইনচার্জ সাঈদ আব্দুল্লাহ আল মুরাদ জানান, শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে নাচোল-মহিপুর সড়ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজান বেকারিতে পাঁচ তরুণের ওই হামলায় ১৭ বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে জবাই ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন কমান্ডো অভিযানে নিহত হন হামলাকারী পাঁচ তরুণ – রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাজ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে তদন্তের পর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবির ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই হামলায় জড়িত ২১ জনকে চিহ্নিত করে তাদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, নব্য জেএমবির জঙ্গিরা ছয় মাস ধরে পরিকল্পনা করে ওই হামলা চালিয়েছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, দেশকে ‘অস্থিতিশীল’ করা, বাংলাদেশকে একটি ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বানানো।
আসামিদের মধ্যে জীবিত আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে গতবছর ২৬ নভেম্বর আলোচিত এ মামলার বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মুজিবুর রহমান।

মামলার আসামিদের মধ্যে নব্য জেএমবির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগরকে আগেই গ্রেপ্তার করেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বাকি দুই আসামি শরিফুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপনকে পলাতক দেখিয়ে এ মামলার বিচার চলছিল। তাদের বিরুদ্ধে হুলিয়া জারি করে সম্পত্তি জব্দেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
গত ১৯ জুন মধ্যরাতে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকা থেকে রিপনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এরপর এই হামলা মামলার অপর আসামিকে ধরতে কয়েকদিন থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় তৎপরতা চালায় র‌্যাব।
বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জের শিবনায়ণপুরে অভিযান গিয়ে ব্যর্থ হন র‌্যাব সদস্যরা। সে সময় র‌্যাব কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে সন্ত্রসী।