সাভার ও আশুলিয়ায় তীব্র যানজট, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা

সাভার প্রতিনিধি: বেলা যত বাড়ছে সাভার-আশুলিয়ায় সড়ক-মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ির সারিও ততই দীর্ঘ হচ্ছে। লকডাউন শিথিলের ৩য় দিন আজ শনিবার সাভার দু’টি মহাসড়কে প্রায় ১৯ কিলোমিটার যানজট আছে। এছাড়া একটি সড়কে ১৬কিলোমিটার এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের জটলা লেগে আছে। এ যানজট ও রোদের উত্তাপের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। সেই সঙ্গে কোরবানির পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছেন পাইকাররা।

আজ শনিবার দুপুরে দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের ত্রিমোড়ে তীব্র যানজটের চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে নবীনগর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার যানজট, ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের নবীনগর থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার যানজট। এছাড়া টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া থেকে ধৌড় পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কের ভিন্ন স্থানে যানবাহনের জটলা লেগে আছে, থেমে থেমে চলছে পরিবহন। এসব মহাসড়কে যানবাহনগুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে রয়েছে।

সাভার হাইওয়ে থানার (ওসি) সাজ্জাত হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, চন্দ্রা থেকে হেমায়েতপুর পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করে এখন কিছুটা কমাতে পেরেছি। আমাদের ট্রাফিক পুলিশের সব সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ও নতুন করে আরও ফোর্স যুক্ত করা হয়েছে।

যানজটের কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরছেন অনেকে। এজন্য একদিকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ ও ঘরমুখো মানুষের ভিড়, অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে কোরবানির হাটে তুলতে ঢাকায় আসছে গরুবাহী গাড়ি। উভয় দিকেই গাড়ির চাপ অনেক বেশি। এছাড়া দুই-একদিনের মধ্যে পোশাক কারখানা ছুটি হবে। তখন ভিড় বেশি হবে, তাই আগেই সাধারণ মানুষ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছেন। যত বেলা বাড়ছে যানজট বেড়েই যাচ্ছে। তবে আমরা সড়কে রয়েছি, সড়কে যানজট নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবদুস সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপের কারণে থেমে থেমে বিভিন্ন পয়েন্টে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাভারের সড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজট নিরসনে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সাভারের থানা স্ট্যান্ড, বাজার বাসস্ট্যান্ড, শিমুলতলা রেডিও কলোনিসহ আশুলিয়ার নবীনগর, বাইপাইল, জামগড়ায়, শ্রীপুর, বাড়ইপাড়ায় দেখা যায় তীব্র যানজট। তবে ঈদের আগে সড়কে এমন যানবাহনের চাপ থাকা স্বাভাবিক বলে উল্লেখ করেন ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক আবদুস সালাম।