সংসদে প্রধানমন্ত্রী: পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগে সর্তক থাকতে হবে

  • [highlight bgcolor=”#ddd4b5″]
    • পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগে সর্তক থাকতে হবে;
    • ৪ বছরে কর্মসংস্থান হয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ;
    • দেশে উত্তোলনযোগ্য নীট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৩.৬৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট;
    • সরকারের সঠিক পদক্ষেপে চিকিৎসা সেবা জনগণের নাগালে এসেছে;
    • ডিএমপি’র জন্য ৭১৩৯ পদ সৃষ্টি

    [/highlight]

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে গত চার বছরে দেশে ও বিদেশে মিলে প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে, যা অতীতে কখনো হয়নি। আজ বুধবার দশম জাতীয় সংসদের নবম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী সংসদকে এ তথ্য জানান।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সুদৃঢ় নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। দেশের উন্নয়নের ৯০ ভাগ নিজস্ব অর্থায়নে হচ্ছে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক ভিত্তিক আর্থিক তথ্য প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্লমবার্গের পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০১৬ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশ। বছর শেষে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা এবং বাংলাদেশের প্রধানতম শ্রমবাজার মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও সরকারের ঐকান্তিক প্রয়াসের ফলে ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ২৪ লাখ ৪০ হাজারেরও (২ দশমিক ৪৪ মিলিয়ন) বেশি শ্রমিক বিদেশে যেতে পেরেছে।

ডিএমপি’র জন্য ৭১৩৯ পদ সৃষ্টি:

রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা জোরদারে নতুন সৃষ্ট ১৩ হাজার ৮৮৮টি পদের মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জন্য ৭ হাজার ১৩৯টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে নতুন ৫০ হাজার পদ সৃজনের বিষয়ে গত বছরের ১১ জানুয়ারি-২০১৬ নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিটের জন্যে ১৩ হাজার ৮৮৮টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে বাকি পদও সৃজন করা হবে। ডিএমপির জন্য ৭ হাজার ১৩৯টি পদের বিপরীতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও সংসদকে জানান শেখ হাসিান।

পুলিশ বাহিনীতে নিয়োগে সর্তক থাকতে হবে:

পুলিশ বাহিনীতে নতুন নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সর্তক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগুন সন্ত্রাসীরা যেন শৃঙ্খলিত একটি বাহিনীতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে পুলিশের কর্মকর্তাদের সর্তক থাকতে বলেন তিনি।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশ বাহিনীর মনে রাখা উচিত- কিভাবে আগুন সন্ত্রাসীরা তাদের উপর আক্রমণ করেছিল। আগুন সন্ত্রাসীদের হাত থেকে পুলিশও রক্ষা পায়নি। পুলিশের ১৮/১৯ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। এই বিষয়টি মনে রেখেও তো নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদের সর্তক থাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পুলিশ বাহিনীতে যাতে জামাত-শিবিরের লোক ঢুকতে না পারে, সেজন্য তাদের সচেতন থাকতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আশা করি তারা সচেতন হবে। পুলিশ বাহিনীতে সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের নিয়োগ বন্ধে সংসদ সদস্যদের সহযোগিতা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা নিজ এলাকায় পুলিশে নিয়োগের পর খোঁজ নিয়ে দেখবেন কোনো সন্ত্রাসী নিয়োগ হয়েছে কিনা।

১০ ডিগ্রী ও ৮টি পদক অর্জন প্রধানমন্ত্রীর:

বিশ্বের ৯ দেশের ১০টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ৮টি আন্তর্জাতিক পদক লাভ করেছেন তিনি। আরো অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, রাশিয়ার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ ও পিপলস বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ভারতের বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের ডান্ডি এবারটে বিশ্ববিদ্যালয় এবং জাপানের ওয়াসিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসব ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার পক্ষ থেকে যে ৮টি পদক পেয়েছেন সেগুলো হলো- চ্যাম্পিয়ন্স অব আর্থ, মাদার তেরেসা পদক, মহাত্মা গান্ধী পদক, সেরেস পদক, এমডিজি পুরস্কার, ইন্ধিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার, সাউথ-সাউথ পুরস্কার ও পিস ট্রি।

এসময় শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের সাথে বহির্বিশ্বের যোগাযোগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকা মহাদেশের মোট ১৩টি দেশ-গ্রিসের অ্যাথেন্স, ইতালির মিলান, ভারতের মুম্বাই, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, পর্তুগালের লিসান, চীনের কুনমিং, লেবাননের বৈরুত, মেক্সিকোর মেক্সিকো সিটি, ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়া, মরিশাসের পোর্ট লুইস, ডেনমার্কের কোপেনহেগেন, পোল্যান্ডের ওয়ারশ এবং অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় নতুন মিশন খোলা হয়েছে।

এছাড়া আরো ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবা, নাইজেরিয়ার আবুজা, রুমানিয়ার বুদাপেস্ট, আলজিরিয়ার আলজিয়ার্স, আফগানিস্তানের কাবুল, সুদানের খার্তুম, সিয়েরালিওনের ফ্রিটাউন ও ভারতের গৌহাটিতে নতুন মিশন খোলার প্রক্রিয়া চলামান রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

sangshad-bhaban-insideদেশে উত্তোলনযোগ্য নীট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৩.৬৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে বর্তমানে উত্তোলনযোগ্য নীট গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৩.৬৪ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। শেখ হাসিনা বলেন, দেশে এ যাবত আবিষ্কৃত ২৬টি গ্যাস ফিল্ডে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ২৭.১২ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। এর মধ্যে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৩.৪৮ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হয়েছে। বাকি গ্যাস বর্তমানে মজুদ রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা ৩ হাজার ২শ’ মিলিয়ন ঘনফুটের অধিক। বিগত সাত বছরে গ্যাসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেলেও চাহিদা অধিক হাড়ে বাড়তে থাকায় সরবরাহের তুলনায় ঘাটতি এখনও প্রায় দৈনিক ৫শ’ মিলিয়ন ঘনফুট। তবে ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে গ্যাসের উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নতুন মজুদ প্রাপ্তির জন্য অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর সাথে এলএনজি আমদানি করে দেশের গ্যাসের চাহিদা পূরণের পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্স মোবারকপুরে একটি অনুসন্ধান কূপ ও সালদায় একটি উন্নয়ন কূপ খননের কাজ করছে। তাছাড়া বিজিএফসিএল কর্তৃক পরিচালিত তিতাস ফিল্ডে একটি উন্নয়ন কূপের খনন কাজ চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, নতুন গ্যাস স্ট্রাকচার চিহ্নিতকরণের জন্য বাপেক্স দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২-ডি সাইসমিক সার্ভে কার্যক্রম, বিদ্যমান গ্যাস ক্ষেত্রের মজুদ পুনঃমূল্যায়নের জন্য ৩-ডি সাইসমিক সার্ভে কার্যক্রম এবং তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে ২০২১ সালের মধ্যে ৫৭টি অনুসন্ধান কূপ খনন, ৪৩টি উন্নয়ন কূপ খনন এবং ২০টি কূপের ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব কূপ থেকে আনুমানিক দৈনিক ১ হাজার ৭৮ থেকে ১ হাজার ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, দেশের সমুদ্রাঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান চালানোর জন্য কয়েকটি ব্লক আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিকে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। সে সকল কোম্পানি অগভীর সমুদ্রাঞ্চলে তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্প্রতি ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সামুদ্রিক সীমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ায় বর্তমানে গভীর এবং অগভীর সমুদ্রে অনুসন্ধান উপযোগী ব্লকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।

চিকিৎসা সেবা জনগণের নাগালে এসেছে:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও পৃষ্ঠপোষকতার কারণে দেশের চিকিৎসা সেবা সর্বস্তরের জনগণের নাগালের মধ্যে এসেছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ এবং এর মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণ, মেডিকেল কলেজের শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিকরণ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধিকরণসহ আধুনিকায়ন, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ, আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করেছে। ফলে প্রান্তিক জনবলসহ সকল শ্রেনির মানুষ অতি সহজে বিনামূল্যে বা সুলভমূল্যে উন্নত চিকিৎসা সেবার সুযোগ পাচ্ছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে স্বাস্থ্য খাতে উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ হাজার ৮০টি চিকিৎসকের পদ সৃজন ও ৩ হাজার ৭২৪ জন চিকিৎসক নিয়োগ, ৯টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান, নিডের মাধ্যমে ২ কোটি শিশুকে পোলিও টিকা খাওয়ানো এবং ১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন উন্নয়ন হয়েছে। প্রতি ৬ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেবার লক্ষ্যে ১৩ হাজার ৮৬১টি কমিউনিটি ক্লিনিকের মধ্যে ১২ হাজার ৯০৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়েছে। সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়নখাতে ১৩ হাজার ১১৪ জন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োজিত রয়েছেন। সেখানে ৩০ প্রকারের ওষুধ দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, ৬৪টি জেলা হাসপাতাল ও ৪২১টি উপজেলা হাসপাতালে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করতে পারছেন। গত ছয় বছরে ১২ হাজার ৯৮৬ জন ডাক্তার নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ১১ থেকে ২০তম গ্রেডের বিভিন্ন শূন্য পদ পূরণের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল ১৪টি। বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা হচ্ছে ৩০টি। অপরদিকে ২০০৯ সালে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ছিল ৩৬টি। বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে ৭১টি মেডিকেল কলেজ পরিচালিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ২টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের লক্ষ্যে ২টি আইন প্রণয়ন চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে। এছাড়া ১০ হাজার নার্স ও ৩ হাজার মিডওয়াইফ পদ সৃজনপূর্বক নিয়োগের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ১২টি নার্সিং ইনস্টিটিউটকে নার্সিং কলেজে রূপান্তর করা হয়েছে। গত ৫ বছরে মোট ৩ হাজার ৫শ’ ছাত্র-ছাত্রী ৪ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব সায়েন্স ইন নার্সিং কোর্সে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের মাধ্যমে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে প্রতিষ্ঠিত ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতাল ও নার্সিং ইনস্টিটিউট’। ওই হাসপাতালে সর্বস্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি এবং স্বনামধন্য চিকিৎসকদের সমন্বয়ে উন্নতর চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে ৫টি হাসপাতালে এবং ঢাকার বাইরে ১৪টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে জনবল সৃষ্টি করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’র নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় একটি বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে এবং রাজশাহী, রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে বিশেষায়িত শিশু হাসপাতাল নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে শিশু হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।#