‘সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের শিক্ষানীতিতে সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে’

নিউজ নাইন২৪, ঢাকা: ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, ড. কুদরত-ই খোদা ও কবির চৌধুরীর শিক্ষানীতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও বাস্তবায়ন করেননি। অথচ ধর্মনিরপেক্ষতার মূলনীতি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার শিক্ষানীতি করেছে।

তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের ভাষা-সাহিত্যে ইসলামী সংস্কৃতি জোর না দিয়ে সংখ্যালঘুদের সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। ইসলামী ভাবধারায় যে স্বতন্ত্রবোধ আছে, সেটা ধ্বংসের চেষ্টা চলছে।

শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘সেক্যুলার শিক্ষানীতি ও শিক্ষা আইন পর্যালোচনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে আলেমরা এ দাবি জানান।

বক্তাদের অভিযোগ, বর্তমান শিক্ষানীতিতে বাধ্যতামূলক ইসলাম শিক্ষাকে ক্ষেত্রবিশেষে বাদ ও ঐচ্ছিক করা হয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা বাস্তবায়নে আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার জীবনালেখ্য, চার খলিফার জীবন চরিতসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইসলামের ইতিহাস থেকে তুলে দেয়া হয়েছে।

আব্দুল লতিফ নেজামীর অভিযোগ, ১৭৫৭ সালে নিউ স্কিমে মাদরাসাগুলোকে ক্ষেত্রবিশেষে হাইস্কুল ও কলেজ করা হয়। বর্তমান শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন হলে ভবিষ্যতে আলিয়া মাদরাসার পরিণতিও একই হবে। আর কওমি মাদরাসাগুলো আলিয়া মাদরাসায় পরিণত হবে। তখন এমন লোক তৈরি হবে, যারা ঠিকমত জানাজাও দিতে পারবে না।

তিনি বলেন, বর্তমান শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করে আসছি, কিন্তু সরকার তোয়াক্কা করছে না। তারা দেশটাকে এনেসথেসিয়ার মধ্যে ফেলে রেখেছে। এখানে সব ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বুঝা যায়, কিন্তু বলা যায় না।

শিক্ষানীতি বাতিল করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে আব্দুল লতিফ নেজামী বলেন, দেশে এক ধারায় বহুমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যেমন: ক্লাস নাইনে আমাদের ছেলে-মেয়েরা সাধারণ বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শাখায় যেতে পারে; তেমনিভাবে প্রথম শ্রেণী থেকে ইসলামিয়াত রাখলে পরবর্তীতে কেউ চাইলে ইসলাম বা ধর্ম বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবে। কিন্তু নতুন শিক্ষানীতিতে এ সুযোগ রাখা হয়নি।