শিক্ষকদের বেতনহীন মানবেতর জীবন

ব্রোকারেজ হাউজগুলো হিমশিম খাচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: যে কোনো সময়ের চেয়ে লেনদেন খরায় ভুগছে দেশের পুঁজিবাজার। সম্প্রতি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দিয়ে দরপতন কিছুটা ঠেকানো গেলেও লেনদেন তলানিতে নেমেছে। এ পরিস্থিতিতে ব্রোকারেজ হাউজগুলো ব্যবসা চালিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছে।

গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত পুঁজিবাজার বন্ধ ছিল। দীর্ঘ দুই মাসের বেশি সময় বন্ধ থাকলেও কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, অফিস ভাড়া ও অন্যান্য খরচ বহন করতে হয়েছে হাউজগুলোকে।

বর্তমানে বাজার চালু থাকলেও লেনদেন কমে গেছে। এখন লেনদেন থেকে যে আয় হচ্ছে, তা দিয়ে দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন একাধিক মালিক।

গত ৩১ মে থেকে পুঁজিবাজার চালু হলেও লেনদেন ব্যাপক কমে গেছে। কোনো কোনো দিন তা ৫০ কোটি টাকার নিচে গিয়ে ঠেকছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। অথচ এক সময় সেখানে ৫/৬ শত কোটি টাকা নিয়মিত লেনদেন হতো। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন আরও কম।

লকডাউনে সূচকে ধস নামতে শুরু করলে পতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়। এর ফলে দর ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারছে না। তবে নতুন করে বিনিয়োগে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ না থাকায় লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০১০ সালের ডিসেম্বরে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ছিল নয় হাজারের কাছাকাছি। তখন ৩ হাজার কোটি টাকার ওপরে লেনদেন হতো। আর বর্তমানে সূচক ৪ হাজার পয়েন্টের নিচে অবস্থান করছে। লেনদেন মাত্র ৪০ থেকে ১০০ কোটি টাকার মধ্যে। এ অবস্থায় শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের কমিশন থেকে পরিচালন ব্যয় উঠাতে পারছে না ব্রোকারেজ হাউজগুলো।
কয়েকটি হাউজের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর প্রাপ্ত কমিশন থেকে তাদের আয় আসে। এখন ব্রোকারেজ হাউজ যে কমিশন পাওয়া যাচ্ছে, তাতে খরচের এক-তৃতীয়াংশের মতো ওঠে। ফলে বড় অংশ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে মালিকদের। প্রতিদিন এক হাজার কোটি টাকা লেনদেন হলে হাউজগুলোর পরিচালন ব্যয় উঠানো সম্ভব।

ডিএসইর পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, লেনদেন অনেক নিচে নেমে গেছে। এই অবস্থায় ব্যবসা চালিয়ে নিতে সবাইকে বেগ পেতে হচ্ছে। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও পুঁজিবাজারের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে ফ্লোর প্রাইস দেওয়া হয়েছে। ফলে লেনদেনও কমেছে।