লুটপাটের ঘাটতি মেটাতেই ভুতুড়ে বিল -এলডিপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিদ্যুৎখাতে সরকারের দুর্নীতি আর লুটপাটের ঘাটতি মেটাতেই গ্রাহকদের ভুতুড়ে বিল দেওয়ার মাধ্যমে হয়রানি ও জনগণের পকেট কাটার ব্যবস্থা করছে বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন ২০ দলীয় জোট শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের সভাপতি আবদুল করিম আব্বাসী ও মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।

গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, চলমান লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ভুতুড়ে বিলের তা-ব জনমনে নতুন আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এমনিতেই বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতির কোনো ইয়ত্তা নেই। তাদের দুর্নীতির ফলে সারা বছরই কোনো না কোনো গ্রাহককে গুণতে হয় এ ধরনের ভুতুড়ে বিলের হিসাব।

নেতারা বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে তারা যে অবৈধ আয় করেন তাকে বৈধ করতেই সাধারণ গ্রাহককে ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দিয়ে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেবার পায়তারা করছে; এমনটাই অভিযোগ আজ ভুক্তভোগি গ্রাহকদের মুখে মুখে। তারা আরও বলেন, যেখানে একজন গ্রাহকের বিদ্যুতের বিল মাসে তিন-চার হাজার টাকা হয়, হঠাৎ করে তার বিল ভৌতিকভাবে মার্চে এসে ৫২ হাজার টাকা হয়ে যাওয়াটা কতোবড় লুট তা ভেবে দেখা প্রয়োজন। বিদ্যুৎখাতের অসৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা মিলিতভাবে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং কাল্পনিকভাবে এসব বিল তৈরি করেছে।

নেতারা বলেন, সমগ্র দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যালয়গুলো দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কিংবা অন্য যেকোনো সেবার জন্য অবৈধ লেনদেন এখানে অপরিহার্য, যেন এটাই রীতি। প্রথম ধাপ অপেক্ষা দ্বিতীয় ধাপের ট্যারিফ মূল্য প্রতি ইউনিটে ১.৪৫ টাকা বেশি আর সর্বশেষ ধাপ অর্থাৎ ষষ্ঠ ধাপের ট্যারিফ মূল্য প্রথম ধাপের ট্যারিফ মূল্যের প্রায় তিনগুণ বেশি এবং একজন গ্রাহককে এ হিসাবেই মোট ব্যবহৃত ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত মূল্য গুণতে হয়।

তারা আরও বলেন, বর্তমানের ভুতুড়ে বিলে তারা যে অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত করেছেন তার ফলে প্রত্যেক গ্রাহককে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ধাপের সমপরিমাণ ইউনিট ব্যবহার করেও তৃতীয় চতুর্থ কিংবা ষষ্ঠ ধাপের ইউনিট মূল্য দিতে হবে। অন্যদিকে ডিপিডিসির কর্মকর্তাদের বর্ধিত বিল সমন্বয়ের আশ্বাসও এক ধরনের প্রতারণার কৌশল মাত্র।