লটকনে স্বাবলম্বী নরসিংদীর চাষিরা

লটকনে স্বাবলম্বী নরসিংদীর চাষিরা

নরসিংদী সংবাদদাতা: নরসিংদী জেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে লটকন চাষ। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে জেলার লটকন চাষিরা। এখানে প্রতি বছরই বাড়ছে বাগানের সংখ্যা। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা ঝুঁকে পড়ছেন লটকন চাষের প্রতি।

নরসিংদীর লটকন এখন মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে এ অঞ্চলের চাষিদের ভাগ্য বদলে গেছে। নতুন প্রজন্মের কাছে রসালো ফল মানেই লটকন। আর লটকন মানেই নরসিংদী।

নরসিংদীর উঁচু আর লাল মাটির টিলা লটকন চাষের জন্য বেশ উপযোগী। লটকন চাষে রোগবালাইয়ের তেমন একটা ঝামেলা নেই এবং খরচ ও কম। রোপণের ৪ থেকে ৫ বছরের মধ্যেই ফলন আসে। ফল দেয় টানা ২০ থেকে ৩০ বছর। এছাড়া লটকন বিক্রি নিয়েও কোনো চিন্তা নেই। কারণ পাইকাররা বাগান থেকেই লটকন কিনে নিয়ে যান।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার শিবপুর, বেলাব, রায়পুরা ও মনোহরদী উপজেলায় লটকন চাষ হয়। এর মধ্যে শিবপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি লটকন চাষ হয়। এ বছর জেলায় ১ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে ১৫ থেকে ১৬ টন লটকন উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উৎপাদিত জমিতে মোট ২৪ হাজার ১৫০ টন লটকন উৎপাদনের আশাবাদ কৃষি অফিসের। এছাড়া বাড়ির আঙিনায় ও পতিত জমিতে ও রয়েছে লটকন গাছ, যা কৃষি বিভাগের হিসাবের বাইরে।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানায়, এ বছর নরসিংদীতে ১ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে লটকন চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা লটকন চাষিদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। নরসিংদীতে যদি একটি ফল প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়, তাহলে লটকনসহ অন্যান্ন ফলের আরও বেশি বাজার মূল্য পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। বাজার ব্যবস্থাপনা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই অঞ্চলের লটকন রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে বলে মনে করেন এলাকার লটকন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।