রাষ্ট্রধর্ম রিট খারিজ: আবেদনকারী সংগঠনের রিট করার এখতিয়ার নেই

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে অন্তর্ভুক্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছে ‘স্বৈরাচার ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটি’। সোমবার (২৮ মার্চ) এই রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট বলেছে, এই রিট করার এখতিয়ার সংগঠনটির নেই। সোমবার দুপুর বিচারক নাঈমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ রিট খারিজের সময় এ মন্তব্য করেন।

এর আগে রিট শুনানির উদ্দেশ্যে আদালত বসার পর রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এসময় তিনি আদালতের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এটা অনেক আগের মামলা। দুটি রুল হয়েছে। অনেক পুরোনো ম্যাটার। ১৯৮৮ সালের রিট। পরে দুটি সম্পূরক আবেদনের রুল হয়। এ জন্য আমাদের কিছু সময় প্রয়োজন।’ আইনজীবীর সময় আবেদনের প্রার্থনার পর আদালত বলেন, ‘ঠিক আছে আপনি বসেন। আগে আমরা আবেদনকারীর আইনজীবীকে শুনবো।’

এরপর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী বিচারক টিএইচ খান, এবিএম নুরুল ইসলামসহ কয়েকজন আইনজীবী ইসলাম ধর্মের পক্ষে পক্ষভূক্ত হওয়ার আবেদন নিয়ে দাঁড়ান। এসময় আদালত বলেন, ‘আপনারা বসেন। এখনো শুনানি শুরু হয়নি। আগে রিট আবেদনের আইনজীবীকে শুনবো। পরে পক্ষভূক্ত হওয়ার বিষয়।’
এরপর আদালত আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত চৌধুরীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনাকে আমরা দেখে আসতে বলেছিলাম স্বৈরাচার ও সা¤প্রদায়িকতা প্রতিরোধ কমিটির পক্ষে এই রিটটি দায়েরের লুকাস্ট্যাডি (রিট করার আইনগত এখতিয়ার) ছিল কি?’ জবাবে সুব্রত চৌধুরী বলেছে, ‘সংগঠন ছাড়াও রিটটি আলাদা আলাদাভাবে প্রত্যেকে আবেদনকারী হয়েছেন।’
পরে আদালত জানায়, ‘আমরাতো দেখছি এটি সংগঠনটির পক্ষেই রিট আবেদন করা হয়েছে।’ তখন সুব্রত চৌধুরী বলেছে, শুনানির সময় আমরা বিস্তারিত বলবো। সন্তোষকজনক জবাব দেবো। আদালত জানায়, ‘ওই সংগঠনের রিট করার লুকাস্ট্যাডি (রিট করার আইনগত এখতিয়ার) নেই। রিট খারিজ, রুল ডিসচার্জ।’
পরে আদালত থেকে বেরিয়ে স্ব্রুত চৌধুরী বলেছে, ‘আমরা পূর্ণাঙ্গ রায় দেখবো কেন খারিজ হয়েছে। এরপর আপিল করবো।’ মুরাদ রেজা বলেন, ‘এ রায়ের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম বহাল থাকার পাশাপাশি অন্য ধর্মের অধিকারও বহাল থাকলো। এটা সংবিধানেও রয়েছে।’