রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় আসলামের ৭ দিনের রিমান্ড

নিউজ নাইন, ঢাকা: রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুনানি শেষে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

গত ২৭ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ফজলুল হক আসলাম চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। কিন্তু ওই দিন রিমান্ডের বিষয়ে হাইকোর্টে একটি রিট বিচারাধীন থাকায় আসলাম চৌধুরীর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া রিমান্ড শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। পরে আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য ৩০ মে দিন ধার্য করেছিলেন।

মঙ্গলবার আসলাম চৌধুরীর পক্ষে রিমান্ড শুনানি করেন সানাউল্লাহ মিয়া এবং মাসুদ আহমেদ তালুকদার। মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত উল্লেখ করে আসলাম চৌধুরীর রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন তারা।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আসামি আসলাম চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৬ মে গুলশান থানায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বাদী হয়ে আসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর আসলামের বিরুদ্ধে দ-বিধির ১২০ (বি), ১২১ (৩) ও ১২৪ (এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করা হয়।

মামলায় আসলামের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘বাংলাদেশের সরকার উৎখাত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ’ আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসলাম চৌধুরী গত ৫ মার্চ থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত ভারতে অবস্থানকালে আইনানুগভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ সরকারকে উৎখাতের জন্য বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক বহির্ভূত রাষ্ট্র ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যার কিছু ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। উক্ত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আসামিরা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাতের জন্য দেশে সন্ত্রাস, নাশকতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করেন, যা দেশের অখ-তা, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।