রাজধানীতে এবারও অপ্রতুল কোরবানির পশুর হা ট: উত্তরে ৯, দক্ষিণে ১৪


​ঢাকা: রাজধানী ঢাকায় প্রতি বছর পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা। সেই সঙ্গে স্বল্প দিনের ছুটি আর ভোগান্তিসহ নানা কারণে বাড়ছে ঈদে বাড়ি না যাওয়া মানুষের সংখ্যা। সে হিসেবে রাজধানীতে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির হাটের চাহিদা রয়েছে ৫০টিরও বেশি। তবে জনসংখ্যা অনুপাতে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও বরাবরের মতো এবারও বাড়ছেনা পশুর হাট। এবার ঢাকার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মাত্র ২৩টি কোরবানির হাট বসার অনুমোদন দিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। এগুলোর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে (ডিএসসিসি) ১৪টি হাট আর ঢাকা উত্তরে (ডিএনসিসি) থাকছে ৯টি হাট।

পবিত্র ঈদুল আযহার ১০দিন আগে কোরবানির পশুর হাটের প্রয়োজনীয়তা থাকা সত্বেও হাটে বেচাকেনা শুরু হবে মাত্র ৫ দিন আগে। এরমধ্যে নিম্নোক্ত হাটগুলো ইজারার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন(ডিএসসিসি):

ঢাকা দক্ষিণের ১৪টি পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে: ঝিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া হাট, ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ, উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘের মাঠ, ধুপখোলার ইস্টএন্ড ক্লাব মাঠ, গোপীবাগ বালুর মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, লালবাগের মরহুম হাজি দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ, কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন জায়গা, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের ভেতর, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা এবং শ্যামপুর বালুর মাঠ ও দনিয়া। এ ছাড়া রয়েছে সারুলিয়ায় একটি স্থায়ী হাট।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি):

ঢাকা উত্তরের৯টি পশুর হাট হলো- উত্তরা ১৫ ও ১৬ নম্বর সেক্টরের মধ্যবর্তী সেতুসংলগ্ন খালি জায়গা, খিলক্ষেত বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬, ওয়ার্ড-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ে খালি জায়গা, ভাষানটেক বেনারশি পল্লী মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, বাড্ডা, আশিয়ান সিটি হাউজিং ও ভাটারা। এছাড়া গাবতলীতে রয়েছে একটি স্থায়ী হাট।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কোরবানির পশুর হাট বাড়ানোর গণমানুষের মতামত প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া গত বছর (২০১৫ সাল) যানজটের অযুহাতে রাজধানী থেকে পশু হাট স্থানান্তর ও হাট কমানোর সিদ্ধান্তের পর ব্যাপক সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠেছিলো রাজধানীবাসীর পক্ষ থেকে। তাদের দাবি রাজধানীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পশুর হাট বসাতে হবে, যেন প্রত্যেকে যার যার এলাকা থেকে কোরবানির পশু ক্রয় করতে পারে। এতে দূরযাত্রা কম হবে, যানজট কমবে, চাঁদাবাজি কমবে, হয়রানী কমবে ইত্যাদি। তবে ৫০ হাটের চাহিদার বিপরীতে মাত্র ২৩টি হাট অনুমোদিত হওয়ায় এবারও পূরণ হলোনা রাজধানীবাসীর সেই আকাঙ্খা।