রজবুল হারাম শরীফ হলো মহান আল্লাহ পাক উনার মাস

রজবুল হারাম শরীফ হলো মহান আল্লাহ পাক উনার মাস

খালিক্ব মালিক রব আল্লাহ পাক সুবহানাহূ ওয়া তায়ালা তিনি এবং কুল-কায়িনাতের নবী ও রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের ঘোষণাকৃত চারটি হারাম বা সম্মানিত মাস উনাদের মধ্যে একটি হলো পবিত্র রজবুল হারাম মাস।

পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “পবিত্র রজবুল হারাম শরীফ হলো মহান আল্লাহ পাক উনার মাস, পবিত্র শা’বান শরীফ হলো আমার মাস এবং পবিত্র রমাদ্বান শরীফ হলো আমার উম্মতের মাস।” সুবহানাল্লাহ!

তত্ত্ববিদগণের মতে, তিন অক্ষর বিশিষ্ট ‘রজব’ শব্দটির ‘র’ অক্ষর দ্বারা রহমতের, ‘জীম’ অক্ষর দ্বারা জুরমুন অর্থাৎ গুনাহর এবং ‘বা’ অক্ষর দ্বারা র্বারুন অর্থাৎ অনুগ্রহের সঙ্কেত বহন করে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি আমার বান্দার গুনাহকে আমার রহমত ও অনুগ্রহের মাঝখানে রাখি।” সুবহানাল্লাহ! (মুকাশাফাতুল কুলূব)

অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক তিনি রহমতে খাছ দ্বারা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করে বান্দাকে নেককার করেছেন।

অতএব, প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উচিত এ মাসে অতীত জীবনের গুনাহখতার জন্য খালিছভাবে তওবা-ইস্তিগফার করে যথাসাধ্য ইবাদত-বন্দেগীতে মনোনিবেশ করা এবং এজন্য মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মদদ ও তাওফীক কামনা করা।

মুফতী শুয়াইব আহমদ

বিশিষ্ট ইসলামিক লেখক ও গবেষক