রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কলার আটা

নিউজ ডেস্ক:

অনেক খাদ্য পণ্যকে ‘গ্লুটেনমুক্ত’ আখ্যা দেওয়া হয়। যদিও অনেক ক্ষেত্রে গ্লুটেনমুক্ত খুঁজতে যাওয়াটা বোকামি হতে পারে। গবেষণায় বলা হয়েছে, সিলিয়াক রোগে ভুগছেন না এমন কেউ গ্লুটেনমুক্ত খাবার থেকে কোনো সুবিধা পাবেন না। তবু গ্লুটেনমুক্ত আটা এবং এসব পণ্যের চাহিদা ওপ্রাপ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত গ্লুটেনমুক্ত আটার নাম কলা আটা। কলা থেকে তৈরি আটাকে কলা আটা বলে। ব্যাপারটি অদ্ভুত শোনা গেলেও কয়েক বছর ধরে আফ্রিকা ও জ্যামাইকা অঞ্চলে গমের আটার সস্তা বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কলা আটা। এটি যেমন সুস্বাদু তেমনি এর রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা। সবুজ কলা থেকে তৈরি হয় কলা আটা। কাঁচা কলার একটি হালকা স্বাদ রয়েছে এতে। সাদা বা প্রক্রিয়াজাত গমের আটার একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প হিসেবে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। কলা আটার উপকারিতা : সিলিয়াক রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের জন্য কলা আটা একটি চমৎকার বিকল্প। এছাড়া অন্যরাও উপকরণটি থেকে পেতে পারেন অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা।
নিচে কয়েকটি সুবিধা তুলে ধরা হলো :
১। প্রিবায়োটিক ফাইবার সমৃদ্ধ : সবুজ কলা প্রিবায়োটিক ফাইবার সমৃদ্ধ উপকরণ হিসেবে পরিচিত। এটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য পরিচর্যার পাশাপাশি পেটের চর্বি হ্রাস করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রিবায়োটিক ফাইবার হজমক্রিয়ায়ও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।
২। পটাসিয়ামের উৎস : পটাসিয়াম একাধিক সুবিধা সমৃদ্ধ এমন এক পুষ্টি, যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বজায় রাখে। এটি উদ্বেগ ও চাপ মোকাবিলায় সহায়তা করে। পেশির শক্তি বৃদ্ধি এবং বিপাকেও কাজ করে পটাসিয়াম।
৩। স্টার্চ প্রতিরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ : কলা আটা স্টার্চ (কার্বোহাইড্রেট যা গ্লাইকোসাইডিক বন্ডে সংযুক্ত অধিক সংখ্যক গ্লুকোজ ইউনিট দ্বারা গঠিত) প্রতিরোধী উপাদানে সমৃদ্ধ। এটি ডায়াবেটিসের ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে। সূত্র : এনডিটিভি