মেসওয়াক করার ৮০টি বিশেষ উপকারিতা জানুন

হযরত আবু দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত,  হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা মেসওয়াক করা থেকে উদাসীন হয়ো না; কেননা তাহাতে বহু গুণ ফযিলত রয়েছে।

তন্মধ্যে শ্রেষ্ঠ ফযিলতসমূহ হচ্ছেঃ

০১। এর দ্বারা মহান আল্লাহ পাক ও হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের  খাছ সন্তুষ্টি অর্জন হয়।০২। নামাজ উনার ফজিলত ৭৭ গুণ বৃদ্ধি করে দেয় হয়।আর ইমাম ত্বহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি  থেকে বর্ণিত, নামাযের ফযীলত ৯৩ গুণ.থেকে ৪০০ গুণ বৃদ্ধির বর্ণনা করা হয়েছে। . ০৩। সচ্ছলতা বয়ে আনে। ০৪। মুখের দুর্গন্ধ দূর হয় । ০৫। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় । ০৬। মাথা ব্যথা দূর হয় । ০৭। দাঁতের পীড়া-ব্যথা দূর হয়। ০৮। হযরত  ফেরেশতা আলাইহিমুসসালামরা নূরানী চেহারায় মুছাফাহা করেন। ০৯। দাঁতের শুভ্রতা ও উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়। ১০। হযরত আলী কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু ও হযরত আনাস রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু  থেকে বর্ণিত আছে, মেসওয়াক করার বরকতে রিজিক সহজে উপার্জন হয়।১১। মস্তিস্ক ঠান্ডা থাকে ১২। দাঁত শক্ত থাকে। ১৩। দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পায়। ১৪। পাকস্থলী কর্মক্ষম থাকে। ১৫। শরীর শক্তিশালী থাকে। ১৬। বাকশক্তি সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়। ১৭। স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে। ১৮। জ্ঞান বাড়ায়। ১৯। অন্তর পরিচ্ছন্ন হয়। ২০। নেকী বৃদ্ধি পায়। ২১। যখন সে নামায পড়তে বের হয় তখন হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুসসালামরা তাকে সালাম ও অভ্যর্থনা জানায়। ২২। আরশ বহনকারী হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুসসালামরা তার জন্য ক্ষমার দোয় করেন। যখন সে মসজিদে থেকে বের হয়। ২৩। শয়তান ক্রোধান্বিত হয়। ২৪। শয়তান দূরীভুত হয়। ২৫। মেসওয়াককারী ব্যক্তি বিজলীর ন্যায় পুলছিরাত পার হয়ে যাবে। ২৬। শরীর ইবাদতের উপযোগী ও শক্তিশালী হয়। ২৭। শরীরের অতীমাত্রার তাপ দূর হয়ে যায়। ২৮। সর্বপ্রকার ব্যাথা দূর হয়। ২৯। পিঠ মজবুত হয়। ৩০। জ্বর থাকলে তা কমে যায়। ৩১। পাকস্থলি ঠিক থাকে। ৩২। দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। ৩৩। কন্ঠ সুন্দর হয়। ৩৪। জিহ্বা তেজস্বী হয়। ৩৫। চাহিদা পরিচ্ছন্ন হয়। ৩৬। শরীরের অতিরিক্ত আদ্রতা দূর হয়। ৩৭। মাল বৃদ্ধি পায়। ৩৮। সহজে প্রয়োজন মিটে। ৩৯। কবর প্রশস্ত হয়। ৪০। কবরে সান্তনা দেয়া হয়। ৪১। তার জন্যে অনেক নেকী লেখা হয়। ৪২। জান্নাতের দরজা সমূহ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। ৪৩। স্ত্রী স্বামীর প্রতি,স্বামী স্ত্রীর প্রতি সন্তুষ্ট থাকে। ৪৪। সন্তানাদী নেক ও শালীন হয়। ৪৫। হযরত ফেরেস্তাগণ মেসওয়াককারীকে দেখে বলতে থাকে ঐ ব্যক্তি হযরত নবীগণের অনুসারী। ৪৬। জাহান্নামের দরজা সমূহ তার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ৪৭। দুনিয়া থেকে পাক পবিত্র অবস্থায় বিদায় হয়। ৪৮। মৃত্যুর সময় হযরত ফেরেশতারা এমন আকৃতিতে আসে যেমন আকৃতিতে হযরত নবীগনদের কাছে আসতেন। ৪৯। আল্লামা হযরত জালাল উদ্দিন সুয়ূতি রহমতুল্লাহি আলাইহি শরহুচ্ছুদুর নামক কিতাবে উল্যে­খ করেছেন। মেসওয়াক করার বরকতে মৃত্যুর সময় আত্মা সহজে বের হয়। এর প্রমাণ হলো, রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম মুমূর্ষ অবস্থায় মেসওয়াক.করেছিলেন। . ৫০। প্রখ্যাত মুহাক্কিক আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রহমতুল্লাহি আলাইহি রদ্দুল মুহতারে (ফাতওয়ায়ে শামীতে) উলে­খ করেছেন।. মেসওয়াক করার উপকারিতা অনেক তন্মধ্যে সর্বউত্তম হল, এটি সর্ব রোগের শিফা মৃত্যু ছাড়া। . ৫১। মেসওয়াক করার দ্বারা হযরত ফেরেশতাগণ উনারা খুশি হন। ৫২। দাঁতের হলুদ বর্ণ দূর হয়। ৫৩। ভাষা সুন্দর হয়। ৫৪। মৃত্যুর সময় কালিমায়ে শাহাদাত নছীব হয়। ৫৫। হযরত উম্মুল উমাম সিদ্দিকা রদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহা  থেকে বর্ণিত, মেসওয়াক সর্বরোগের প্রতিষেধক সাম ব্যতিত, আর সাম হলো মৃত্যু।  ৫৬। মেসওয়াক করার বরকতে শত্রুর দিলে ভয় সৃষ্টি হয়। ৫৭। মেসওয়াক করার বরকতে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা যায়। ৫৮। যুদ্ধে জয় লাভ হয়। ৫৯। চুলের গোড়া শক্ত হয়। ৬০। মুখের জড়তা, তোতলামী, বাকরুদ্ধতা দূর হয়। ৬১। যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। ৬২। হযরত আলী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত, মেসওয়াক ধীশক্তি বাড়ায়। ৬৩। কাশি দূর করে। ৬৪। যার মাথায় বা শরীরে পশম নেই মেসওয়াক করার দ্বারা তার শরীরে ও মাথায় চুল গজায়। ৬৫। শরীরের রং উজ্জ্বল ও আকর্ষণীয় হয়। ৬৬। সায়্যিদ মূছা বিন আহমাদ হানাফি রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেছেন মেসওয়াক করার দ্বারা দরিদ্রতা মোচন হয়। ৬৭। শয়তানের ওয়াছওয়াছা দূর হয়। ৬৮। সহবাসে অধিক শক্তি লাভ হয়। ৬৯।ক্ষুধা দূর হয়। ৭০। চেহারা সুন্দর হয়। ৭১। দাঁতের হলুদ বর্ণ দূর করে, দাঁত হয় ধবধবে সাদা, উজ্জ্বল। ৭২। চোখের দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করে। ৭৩। ইবাদতে শক্তি পাওয়া যায়। ৭৪।হযরত ফেরেস্তা আলাইহিমুসসালামরা তার প্রশংসা করেন। ৭৫। মহান আল্লাহ পাক তিনি সন্তুষ্ট হন। ৭৬। শয়তান অসন্তুষ্ট হয়। ৭৭। মৃত্যুর সময় কালিমায়ে শাহাদাত স্মরণ হয়। ৭৮। মৃত্যুর যন্ত্রণা সহজ হয়। ৭৯। তাড়াতাড়ি আত্মা বের হয়ে যায়। ৮০। জান্নাতে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। . ইমাম তিরমিজি ও ইমাম হাকেম  বলেছেন, মেসওয়াক করার সময় একেবারে প্রথম বারের লালা গিলে ফেলবে। কেননা এতে কুষ্ঠরোগ থেকে বাঁচা যায়। এবং মৃত্যু ছাড়া সকল রোগ থেকেও বাঁচা যায়। তবে প্রথম বারের পর আর গিলবে না। কেননা এতে ব্রেইন/ সৃতিশক্তি কমে যায়। . (রিছালাতুল কোশাইরি ছিয়ায়া) (আনওয়ারুল বারী ৮/৯০, ছিয়ায়া ১খন্ড /১১৮পৃঃ) (ফতওয়ায়ে শামী ১খন্ড / ২৩৬পৃঃ) (এত্তেহাফে সাদাতুল মুত্তাকীন- ২খন্ড/৩৫১পৃঃ) (ইত্তেহাফে সাদাতুন মুত্তাকিন ২খন্ড/ ৩৫১পৃঃ)

 

মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সবাইকে মেসওয়াক করার তাওফিক দান করুন।