তাতে আগামী কয়েক বছরে ১৫ লাখ বাংলাদেশি গিয়ে সেদেশে বর্তমান বৈদেশিক শ্রমিকের সংখ্যা ভারী করবে বলে সেখানে যে আশঙ্কা রয়েছে তা হবে না বলে বুমিপুতেরা এন্ট্রাপ্রিনিয়ার্স ক্লাব নামের সংস্থাটি আশ্বস্ত করেছে।
তার বদলে যাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চলেছে তাদের জায়গা পূরণ করবে নতুন করে আনা বাংলাদেশি শ্রমিকরা। তবে এক্ষেত্রে বর্তমানে সেখানে কর্মরত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থার মহাসচিব ইশাক কমরুদ্দিনকে উদ্ধৃত করে মালয়মেইল অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, সর্বশেষ ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক নেওয়া হয়। সে সময় তাদের ১০ বছরের কাজের অনুমতি দেওয়া হয়, যা আগামী দুই বছরের মধ্যে শেষ হতে চলেছে।
বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম। পরদিন দেশটির উপপ্রধানমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি সব ‘সোর্স কান্ট্রি’ থেকে জনশক্তি আমদানি স্থগিতের ঘোষণা দেন। তবে ওই ঘোষণা বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার চুক্তিতে প্রভাব ফেলবে না বলে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়।
এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া শ্রমিক নিবে কি না তা নিয়ে জনমনে শঙ্কার মধ্যে বুমিপুতেরা এন্ট্রাপ্রিনিয়ার্স ক্লাবের এই বক্তব্য এলো।
ইশাক কমরুদ্দিন বলেন, তালিকায় না থাকা বিদেশি শ্রমিকদের বৈধতা দিতে ২০১১ সালে সরকার যে ‘সিক্স পি’ কর্মসূচি নিয়েছিল তার আওতায় ২০১২ সাল থেকে চার বছরের জন্য কাজের অনুমতি দেওয়া হয়।
“১৫ লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের যে কথা বলা হচ্ছে তা উড়ো কথা নয়,” কুয়ালা লামপুরে সংবাদ সম্মেলনে বলেন তিনি।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে কত শ্রমিক নেওয়া হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করা না হলেও প্রতি বছরে তিন লাখ করে পাঁচ বছরে মালয়েশিয়া ১৫ লাখ শ্রমিক নেবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় বিদেশি শ্রমিকদের চাহিদা বাড়তে থাকায়, বিশেষ করে ‘থ্রিডি’ শিল্পে, বিদেশি শ্রমিক নেওয়া স্থগিতের ঘোষণা সাময়িক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইশাক কমরুদ্দিন।
মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ২১ লাখ ৩৫ হাজার ৩৫ জন নথিভুক্ত এবং প্রায় ১৭ লাখ অবৈধ বিদেশি শ্রমিক রয়েছেন।