ভেঙে গেছে বরুগুনি খালের বেড়িবাঁধ !

22052646_865726770272355_1850097934_n
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বরুগুনি খালে নির্মিত বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় খালের তীরবর্তী বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে।
চলতি মৌসুমে চার বারের বন্যায় পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির ঢলে দীর্ঘ আট কিলোমিটার বরুগুনি খালের দুইপাশে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। যার কারণে অনেক পরিবার তাদের বাপ দাদার ভিটে বাড়ি ও ফসলি জমি খালের ভাঙনে বিলীন হয়ে যাওয়ায় সর্ব-স্ব হারিয়ে পথে বসেছে।
২০০৯ সালে বরুগুনি খালে স্রোতের তীব্রতায় অনেকের ফসলি জমি ও বসত ভিটা খালে বিলীন হয়ে যাওয়ায় চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরীর প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড উত্তর হাশিমপুর দেব পাড়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে বালির বস্তা বসিয়ে বাঁধ নির্মাণ করেন। গত বন্যায় স্রোতের তীব্রতায় সেই বেড়িবাঁধ ভেঙে বন্যার পানি এলাকায় ডুকে পড়ে ব্যাপক বাড়ি-ঘর, ফসল ও রাস্তা ঘাটের ক্ষতি সাধিত হয়। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য হাশিমপুর ৩ নম্বর ওয়ার্ডস্থ দেব পাড়ায় টুন্টু দে ২২ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন দায়ের করে ও কোন কাজ এখনো হয়নি।
সম্প্রতি খালের ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত দেব পাড়া ও আলী শাহ মাজার সংলগ্ন এলাকার টুন্টু দে ও কবির আহমদ জানান বরুগুনি খালের বেড়িবাঁধ ভেঙে যাবার ফলে ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রায় শতাধিক ভিটি ও ফসলি জমি খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে উত্তর হাশিমপুর দেব পাড়া, আলী শাহ মাজার, হিমাংশু ঢিলা ভাঙন আতঙ্কে দিশাহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।
চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী বরুগুনি খালের ভাঙনের কথা স্বীকার করে বলেন, এ ভাঙন প্রতিরোধ করা না হলে এ সব এলাকার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হবে। তিনি ইতোমধ্যে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছেন বলে জানান।