ভাড়াভিত্তিক ইজারায় চালু হবে বন্ধ পাটকল -পাটমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিজেএমসির বন্ধ পাটকল দ্রুততম সময়ে ভাড়াভিত্তিক ইজারা পদ্বতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পুনঃচালুর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞপ্তির আওতায় দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তালিজ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে (এফডিআই) আগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। বুধবার মন্ত্রণালয়ের মাসিক সমন্বয় সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।

পাটমন্ত্রী বলেন, পৃথিবী জুড়ে পাটের কদর ও চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট চাষিরা বর্তমানে কাঁচা পাটের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। চলতি পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের গড়দর ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০% বেশি। ফলে পাটচাষিরা এ মৌসুমে অধিক পরিমাণে পাট চাষে আগ্রহী হচ্ছে। এতে করে দেশের অর্থনীতিতে পাটখাতের অবদান আরও সুসংহত হবে বলে আশা করা যায়। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৯৫৩.৫৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২.৯৪% বেশি। আর তা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০.৬৪% বেশি।
মন্ত্রী বলেন, বেসকারি ব্যস্থাপনায় পুনঃচালুকৃত মিলে অবসায়নশৃত শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একই সাথে এসব মিলে কর্মক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সব শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে। বেসরকারি পাটকলগুলোর উৎপাদনশীলতা ও ব্যবস্থাপনার কৌশলের কারণে দেশের অর্থনীতিতে পাটখাতেন অবদান আরও বাড়বে।

তিনি বলেন, উৎপাদন বন্ধকৃত ২৫টি মিলের মধ্যে ৪টি মিলের (জাতীয়, খালিশপুর, দৌলতপুর ও কেএফডি) মিলের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি আগস্ট ২০২০ মাসে পরিশোধ করা হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত ও অবসানশৃত ৩৪,৭৫৭ জন স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনাদি ২ লাখ টাকার ঊর্ধ্বে পাওনার ক্ষেত্রে অর্ধেক নগদে ও অর্ধেক তিন মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র ইস্যুর মাধ্যমে পরিশোধের সিদ্ধান্ত আছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২১টি মিলের সবগুলোতে নগদ অংশ পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ পর্যন্ত ১,৭৬৯.৪১ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত ৩১৭৫৭ জন শ্রমিকের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে ১৬৬২.১৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে, যা বরাদ্দের প্রায় ৯৩.৯৪%।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ২৫টি পাটকল গত বছরের ১ জুলাই বন্ধ ঘোষণা করা হয়।