বড় দুর্যোগে ৭ ঝুঁকিতে ব্যাংকিং খাত

বড় ধরনের দুর্যোগে সাত ধরনের ঝুঁকিতে ব্যাংকিং খাত। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতে দুর্যোগে ঋণ, নিরাপত্তা, তারল্য, সুদের হার, দক্ষতা সঙ্কট, সুনাম এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। এজন্য এখনই ভবিষ্যত দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে এক সেমিনারে ‘অ্যাড্রেসিং ডিজেস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস: বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো: আহসান হাবীব। সেমিনারে ‘ইমপ্যাক্ট অব এডোপটিং ব্যাসেল অ্যাকর্ড ইন দ্যা ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক আরও একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের অধ্যাপক মো: নেহাল আহমেদ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী।

‘অ্যাড্রেসিং ডিজেস্টার রিস্ক বাই ব্যাংকস: বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় ধরনের দুর্যোগে ব্যাংকে কি পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি তার তথ্য ব্যাংকের কাছে নেই। ব্যাংকগুলোর এ তথ্য সংরক্ষণে অনীহা। আমানত, বিনিয়োগ প্রভাব এ সম্পর্কে ব্যাংকিং খাত কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না। যাবতীয় কৃষি ঋণে বিতরণে বীমা আওতায় আনতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে, দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাংকগুলোকে ভবিষ্যত পরিকল্পনা করতে হবে বলে ৪৭ শতাংশ ব্যাংকার মত দিয়েছেন। ১৭ শতাংশ ব্যাংকার জানিয়েছেন সচেতনতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশে দুর্যোগে ব্যাংকিং খাত থমকে যায়। প্রায়ই সুদ মওকুফ, ঋণ পুন:তফসিল করতে হয়। এ কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ে। ব্যাংকিং খাত অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়ে। ২০১৫ সালের রাজনৈতিক গোলযোগেও ব্যাংকিং খাত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকিং খাতে কিছু ক্ষেত্রে অস্থিরতা চলছে। হঠাৎ ব্যাংক কর্মীদের ছাটাই করা হচ্ছে। আবার অন্য খাতের লোকজনকে বড় বেতনে ব্যাংকে সিনিয়র পদে বসানো হচ্ছে। এটি ব্যাংকিং খাতের জন্য ভালো খবর নয়।