‘বিশ্বে প্রতিবছর পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মৃত্যু ৬ লাখ’

তামাকজাত দ্রব্যের অবাধ ব্যবহার আমাদের হুমকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর ৬ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করছে।

রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী কলেজ অডিটোরিয়ামে জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন টাস্কফোর্স কমিটির আয়োজনে ও অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভলপমেন্ট-এসিডির সহযোগিতায় আলোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়।

এক সমীক্ষার বরাত দিয়ে সভায় বলা হয়, আমাদের দেশে কর্মক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশ পুরুষ, ৩০ শতাংশ নারী এবং পাবলিক পরিবহনে ৬৯ শতাংশ পুরুষ, ২১ শতাংশ নারী পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। বাংলাদেশে পুরুষদের তুলনায় নারী ও শিশুরা পরোক্ষ ধূমপানের কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন।

পরোক্ষ ধূমপানের কারণে মানুষ ফুসফুস ক্যান্সার, হৃদরোগ ও স্ট্রোক, বিকলাঙ্গ সন্তান জন্মদান, শিশুদের কানের ইনফেকশন, অ্যাজমা, ব্রংকাইটিস ইত্যাদি জটিল রোগে আক্রান্ত হয়।

প্রচলিত আইনানুসারে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাবলিক প্লেস, শিশুদের প্রি-স্কুল বা কেয়ার সেন্টার, প্রাইমারি স্কুল, হাইস্কুল বা হাইস্কুলের ছাত্রাবাস, শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয় এমন কক্ষ, সব মাতৃসদন, ক্লিনিক বা হাসপাতাল ভবন, খেলাধুলা ও অনুশীলনের জন্য নির্ধারিত আচ্ছাদিত স্থান, এক কামরা বিশিষ্ট পাবলিক পরিবহন ধূমপানমুক্ত হতে হবে।

কিন্তু আইন অমান্য করায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধূমপায়ীরা প্রতিনিয়ত পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছেন। ১৩-১৫ বছরের শিশুরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এই সময় অধিকাংশ শিশু ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

সভায় ধূমপানের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধূমপানমুক্ত রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ শিক্ষার্থীদের প্রতি ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য বর্জন করার আহ্বান জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন- ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. ফারহানা হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্যশিক্ষা কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।

আলোচনা সভায় এসিডি’র পোগ্রাম অফিসার শরীফুল ইসলাম শামীম ধূমপান ও তামাকজাতদ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ও তামাকের স্বাস্থ্যক্ষতি সম্পর্কে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।