ইয়াবার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব পুলিশের

পুলিশ অনৈতিক

ঢাকা: বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে ইয়াবার ভয় দেখিয়ে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ উঠেছে আদাবর থানার এসআই রতন কুমারের বিরুদ্ধে। রোববার বিকেলে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
কল্যাণপুরস্থ আশা ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ফারহানা আক্তার জানান, বিকেলে ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে বই কিনতে শিয়া মসজিদের দিকে রিকশাযোগে রওয়ানা হন। এসময় মসজিদের বিপরীতে থাকা আদাবর থানার এসআই রতন কুমারসহ পুলিশের তিন সদস্য তাকে জোর করে রিকশা থেকে নামায়। পরে তার কাছে ইয়াবা আছে কি না জানতে চান ওই দারোগা। এতে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন ফারহানা। এক পর্যায়ে শিয়া মসজিদের বিপরীতে একটি ইলেকট্রিকের দোকানে নিয়ে যান ফারহানাকে। সেখানে নিয়ে নানা অনৈতিক প্রস্তাবও দেন এসআই রতন।
ফারহানা অভিযোগ করেন, ওই দারোগাকে তার পরিচয়পত্র দেখানোর পরও বারবার ইয়াবা ব্যবসায়ী বানানোর চেষ্টা করেন রতন। পরে তিনি রতনকে বলেন, স্থানীয় লোকদের সামনে তার ব্যাগ তল্লাশি করতে হবে এবং প্রয়োজনে থানায় যাবার কথা জানান ফারহানা। কিন্তু এ প্রস্তাবে রাজি হননি রতন।
রতন দাপটের সাথে বলেন, ‘আমার কাছে ওসি ডিসি কিছুইনা, কারও কাছে নালিশ করে লাভ নেই’। তবে কোনো মিডিয়াকে এ বিষয়টা না জানানোর অনুরোধ জানান ওই দারোগা। ফারহানা ছাড়া পেলেও এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই ইলেকট্রিকের দোকানদারকে দিয়ে ফোন করান রতন।

তাকে বলা হয়, ‘পরে ফোন করলে যেখানে আসতে বলবো সেখানে চলে আসবেন।’
এ ব্যাপারে এসআই রতন ফারহানাকে রিকশা থেকে নামিয়ে তল্লাশির বিষয় স্বীকার করে দাবি করে বলেন, তিনি আমার পূর্ব পরিচিত। কিন্তু কেমন পরিচয় তা বলতে পারেননি। এসআই রতন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর স্বামী বিএনপি করে, তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। অন্য কোথাও ডাকার বিষয় অস্বীকার করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
অপরদিকে ফারহানার স্বামী বলেন, ঘটনার পর তিনি স্ত্রীসহ মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেত গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছেন, এসআই রতন তাদের থানার কর্মকর্তা নয়। তবে ফারহানা ওই দারোগার বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে মামলা করেবন বলে জানান।