বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় ফেসবুক টিভি চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচারকেন্দ্রের লিগ্যাল নোটিশ

বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় ফেসবুক টিভি চ্যানেলকে আন্তর্জাতিক সুন্নত প্রচারকেন্দ্রের লিগ্যাল নোটিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করায় সিলেটের বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪ ডট কম ও ফেসবুকে এবি টিভি চ্যানেলের সম্পাদক-প্রকাশককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্রের সভাপতি আল্লামা মুফতি মুহম্মদ আলমগীর হুসাইন উনার পক্ষে লিগ্যাল নোটিশটি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহম্মদ মাসুদুজ্জামান ।

আইনজীবী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নোটিশে বলা হয়, গত ৫ মার্চ ২০২১ তারিখে বিয়ানীবাজার নিউজ ২৪ডট কম ও এবি টিভি চ্যানেলে “বিয়ানীবাজারে নবীজীর সুন্নত বলে বিক্রি হচ্ছে ‘নকল মধু, শিরকা ও তেল’ শীর্ষক একটি সচিত্র মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেটি ফেসবুকসহ অনলাইনে প্রকাশ করা হয়।

নোটিশে বলা হয়েছে, শতভাগ সুন্নত পালনের মধ্যেই রয়েছে, শতভাগ রহমত। আর তাই সর্বস্তরের মানুষ যাতে সুন্নতের উপর আমল করতে উৎসাহিত হয় এবং দুষ্প্রাপ্য সুন্নতী সামগ্রী যাতে সহজে পেতে পারে অর্থাৎ সুন্নত প্রচারের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র। বৈধ লাইসেন্স, ট্রেড মার্ক এর আওতায় বিভিন্ন খাদ্য ও সুন্নতি আসবাব সামগ্রী বিক্রয় করে আসছে। সুন্নত প্রচার কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশে সুনামের সাথে খাঁটি ও মানসম্পন্ন পণ্য বিক্রি করে আসছে। এটি নিজস্ব যানবাহন ব্যবহার করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পণ্য বিক্রি করে থাকেন।

নোটিশে আরো বলেন, উক্ত প্রতিবেদন দ্বারা যা করা হয়েছে তা কোনও সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকের কাছ থেকে একেবারেই অপ্রত্যাশিত। আপনারা বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষভাবে সংবাদ প্রচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আপনারা স্পষ্টতই আপনাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।
সুন্নত প্রচার কেন্দ্রের ভ্রাম্যমান দলের কাছে প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্য প্রমাণ ছিল এবং তাদের কোনও পণ্যই অবৈধ ছিল না।

বাংলাদেশে প্রচলিত “ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন, ২০১৮”-এর ২৫ ধারায় বলা হয়েছে: “যদি কোনো ব্যক্তি ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ডিজিটাল মাধ্যমে, ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে, এমন কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ করেন, যাহা আক্রমণাত্মক বা ভীতি প্রদর্শক অথবা মিথ্যা বলিয়া জ্ঞাত থাকা সত্ত্বেও, কোনো ব্যক্তিকে বিরক্ত, অপমান, অপদস্থ বা হেয় প্রতিপন্ন করিবার অভিপ্রায়ে কোনো তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ, প্রকাশ বা প্রচার করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ।” একই আইনের ২৯ ধারা অনুযায়ী, অনলাইনে মানহানিকর তথ্য প্রকাশ বা প্রচারও একটি অপরাধ।

নোটিশে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের ৪০ অনুচ্ছেদে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে যে কোনও বৈধ বাণিজ্য বা ব্যবসা পরিচালনার অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে, অথচ আপনি আমার মক্কেলের আইনত ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করে অপমান, অপদস্থ ও হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। আপনাদের সচিত্র প্রতিবেদনটি সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশের আইনের লঙ্ঘন।

নোটিশে বলা হয়েছে, এই নোটিশ পাওয়ার ২ (দুই) দিনের মধ্যে মিথ্যা, বিভ্রান্তিমূলক ও মানহানিকর সংবাদ প্রতিবেদন প্রত্যাহার করুন, এবং একই টিভিতে উক্ত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদের ভুল স্বীকার করে কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করুন। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।