বায়তুল মালের টাকায় জামায়াতের নাশকতা

বায়তুল মালের  টাকায় নাশকতার পরিকল্পনা করছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। দল পরিচালনা বাবদ নেতাকর্মীদের কাছ থেকে বায়তুল মাল হিসেবে মোটা অংকের টাকা সংগ্রহ করছে জামায়াত। নেতাকর্মীদের এসব টাকাই নাশকতায়  ব্যয় করছে দলটি।

সম্প্রতি রামপুরা থানা এলাকা থেকে কোটি টাকাসহ জামায়াতের পাঁচ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের পর রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান হিসাবরক্ষক ও রোকন মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫), কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সহকারী হিসাবরক্ষক ও রোকন মো. আমিনুর রহমান (৫৬), শাহাদাতুর রহমান ওরফে সোহেল (৪৩), ওসমান গনি (৪০) ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পিয়ন আবুল হাশেম (৩২)।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বোচ্চ আদালতে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আপিল মামলার চূড়ান্ত রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করেছিলেন দলটির নেতাকর্মীরা। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কোটি টাকার বাজেট করে নাশকতার ছক করেছিলো দলটি। সারাদেশে থাকা জামায়াতের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে দল পরিচালনা বাবদ সংগৃহীত বায়তুল মালের টাকায় এ পরিকল্পনা করা হয়।

গত ০২ জানুয়ারি বিকালে রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর বি ব্লকের ৬নং রোডের ১৭নং বাড়ি থেকে জামায়াতের নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে রামপুরা থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ এক কোটি ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা ও জিহাদি বই জব্দ করা হয়।

পরে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ও অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং) আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। গত ০৩ জানুয়ারি দুই মামলায় পাঁচদিন করে  প্রত্যেকের দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, রিমান্ডে গ্রেফতারকৃত জামায়াতের নেতাকর্মীরা  নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। দল পরিচালনা বাবদ নেতাকর্মীদের থেকে সংগৃহীত বায়তুল মালের টাকা দিয়ে নাশকতা করতে চেয়েছিলেন তারা।

তিনি বলেন,  ০৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান নিজামীর চূড়ান্ত রায়ের দিন সারাদেশে নাশকতা করতে  এসব টাকা ব্যয় করার পরিকল্পনা ছিলো গ্রেফতারকৃতদের। এছাড়াও আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি। তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য বলা যাচ্ছে না।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, জব্দকৃত ১ কোটি ৪৭ হাজার টাকার কোনো বৈধ কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। সারাদেশ থেকে দলের নেতাকর্মীদের দেওয়া বায়তুল মালের টাকা সেগুলো।  নাশকতা করতে এই টাকা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে চেয়েছিলেন তারা।