মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল ভবনের ষষ্ঠ তলায় ১৭ হাজার ৯০৭ বর্গফুটের একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। ১৯৬২ সালে স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অধীনে এটি যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতার পর ১৯৭১ সালে এই গ্রন্থাগারের ‘বাংলাদেশ ব্যাংক লাইব্রেরি’ নামকরণ হয়।
ডিজিটাল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সরকারি উদ্যোগকে সফল করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ই-গ্রন্থাগার চালু করল বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
গ্রন্থাগারে ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ও রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন ডিটেকশন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। একে ব্রিটিশ কাউন্সিল লাইব্রেরি, ব্যাংক অফ ইন্টারন্যাশনাল সেটেলমেন্ট ও আমেরিকান সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ঢুকে ‘বিবি লাইব্রেরি’ ট্যাব ব্যবহার করে ই-গ্রন্থাগারে যেতে পারবেন পাঠকরা। পাঠকদের নিবন্ধন করে মুল সাইটে ঢুকতে হবে। সেখান থেকে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদন, বই ও জার্নাল ডাউনলোড করা যাবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গর্ভনর আতিউর রহমান বলেন, “জ্ঞানভিত্তিক কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করার অংশ হিসেবে ই-লাইব্রেরি চালু করা হল। এটি নিঃসন্দেহে দেশের সেরা লাইব্রেরি। তবে এর সুরক্ষা ও মান যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে, সে খেয়াল রাখতে হবে।”
এই গ্রন্থাগার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তা করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।