বাংলাদেশ চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার: শি জিনপিং


ঢাকা: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা পৌঁছে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চেলের ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ বলে মনে করে।

চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত দৈনিক চায়না ডেইলির এক খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এক বিবৃতিতে শি জিনপিং এ কথা বলেন।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনের রাষ্ট্রপ্রধানের এ সফরকে সম্পর্কের ‘নতুন যুগের সূচনা’ বলছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শি জিনপিংও দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার আশার কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থার সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার জন‌্য আমরা প্রস্তুত। দুই দেশের সহযোগিতার সম্পর্ককে আমরা আরও উঁচুতে নিয়ে যেতে চাই।”

‘ওয়ান-বেল্ট, ওয়ান রোড’ নীতি ধরে এগিয়ে যাওয়া চীনের সহযোগিতা সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে শি জিনপিংয়ের এই ঢাকা সফর। ১৯৮৬ সালে লিশিয়ানইয়ানের পর বাংলাদেশে আসা প্রথম চীনা রাষ্ট্রপ্রধান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, শির এই সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অন্তত ২৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক, বাণিজ‌্যিক, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহযোগিতামূলক চুক্তি ও সমঝোতার আওতায় চীনের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তার আশা করছেন বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।

বিবৃতিতে শি জিনপিং বলেন, “৪১ বছরের কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাসে বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্ব সব সময়ই সামনের দিকে এগিয়েছে।”

রাষ্ট্রের সমৃদ্ধির জন‌্য চীন ও বাংলাদেশকে উন্নয়নের একই চ‌্যালেঞ্জের পথে হাঁটতে হচ্ছে মন্তব‌্য করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির এই নেতা বলেন, তার দেশের মানুষ এক ‘মহৎ রূপান্তরের’ জন‌্য কাজ করছে। আর বাংলাদেশ কাজ করছে ‘সোনার বাংলা’ গড়তে।

শি জিনপিং বেলা ১১টা ৩৬ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।