বাংলাদেশে মোসাদের এজেন্ট নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়!

নিউজ নাইন২৪ প্রতিবেদক: সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ ও তাদের সাথে বিএনপি-জামায়াতের আতাঁত নিয়ে সংবাদ-প্রতিবেদন বেশ হাইলাইট করে প্রকাশিত হচ্ছে। আজও যুগান্তরে প্রকাশিত হয়েছে “মোসাদের ষড়যন্ত্র: সরকার উৎখাতে জামায়াতের অর্থায়ন” শিরোনামে প্রতিবেদন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব চাঞ্চল্যকর সংবাদের প্রতিক্রিয়ায় অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও রীতিমতো তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনলাইন এক্টিভিস্ট ও ব্লগার নয়ন চ্যাটার্জীর পেইজে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস বেশ সাড়া জাগানো প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এখানে ব্লগার নয়নের লেখাটি নিউজ নাইন২৪ পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-

বাংলাদেশ কিন্তু এর আগেও মোসাদ এজেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে গিয়েছিলো। আপনাদের নিশ্চয় সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর কথা মনে আছে। সে ট্যাবলয়েড উইকলি ব্লিজ এর এডিটর। আজ থেকে ১৫-১৬ বছর আগ থেকেই সে বাংলাদেশে আল কায়েদা আছে বলে প্রচার চালাতো।

মোসাদ এজেন্ট সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীকে বিএনপি টার্মে ২০০৩ সালে বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার হয়। পরবর্তীতে আওয়ামী সরকার এসেও তার বিরুদ্ধ কঠোর অবস্থানে ছিলো। বিভিন্ন রাষ্ট্রদ্রোহী মামলার কারণে জেলবন্দির থাকে মোসাদ এজেন্ট শোয়েব।

মোসাদ নিয়ে ফেসবুকে

সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরী ছিলো জায়ানিস্ট, সে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের স্বীকৃতি আদায়ের জন্য কাজ করতো। একই সাথে তার আরো একটি পরিচয় ছিলো, শোয়েব চৌধুরী বাংলাদেশের সংখ্যালঘু (হিন্দু) আইনজীবি পরিষদের একজন উপদেষ্টা। সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর সাথে মোসাদ এর যোগাযোগ আছে এমন স্পষ্ট প্রমাণ পেয়েই গ্রেফতার করা হয়। তবে গ্রেফতার হওয়ার পর তার মোসাদ কানেকশন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায়, কারণ ঐ সময় সালাউদ্দিনের মুক্তির জন্য প্রতিবাদে ইহুদী সংগঠনগুলো ঝাপিয়ে পড়ে। 

(পড়তে পারেন: https://en.wikipedia.org/wiki/Salah_Choudhury)

বাংলাদেশে একইভাবে ইসরাইলের স্বীকৃতি চেয়ে সোচ্চার হয়েছিলো ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামের মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। বাংলাদেশের টিভি টকশোতে এই মহিলাকে বাংলাদেশকে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষে ওকালাতি করতে দেয়া যায়, যদিও পরবর্তীতে জনরোষে চুপ মেরে যায় তানিয়া। উল্লেখ্য এই তানিয়া আমিরকেও মাঝে মাঝে দেখা যায়- কথিত সংখ্যালঘূ নির্যাতন ইস্যুতে সভা-সমাবেশে যোগ দিতে। (http://goo.gl/Jx5yM4)

এবার আপনাদের নিয়ে যাবো ভিন্ন যায়গায়। আমেরিকার এক ইহুদী নাম Vincen bruno otero (https://www.facebook.com/vincent.brunootero)। সে কয়েক বছর আগে হঠাৎ প্রচার করলো- সে ইহুদী ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছে। খুব ভালো কথা। এরপর সে প্রকাশ করলো সে বাংলাদেশসহ এ এলাকাগুলোতে হিন্দুদের অধিকার নিয়ে কাজ করবে। কয়েক বছর আগে আমেরিকা থেকে ফান্ডিং করে সে বাংলাদেশের হিন্দু তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে গঠন করলো ‘জাস্টিস ফর হিন্দু’ নামক একটি সংগঠন, উদ্দেশ্য বাংলাদেশে সংখ্যালঘূ হিন্দুদের উপর কথিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে বলবে (http://archive.is/kHV33)। মজার ব্যাপার হচ্ছে- মানবতার কথা বলে হিন্দুদের উপর কথিত নির্যাতন নিয়ে কথা বললেও vincen bruno otero আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্যাম্পের একনিষ্ট ভক্ত এবং Infidel Liberation Front নামক একটি এন্টি মুসলিম দলের সদস্য। অর্থাৎ ঐ ইহুদী এ এলাকায় সংখ্যালঘু হিন্দুদের পক্ষে কথা বলে, কিন্তু আমেরিকায় সংখ্যালঘু মুসলমানদের মেরে ফেলার পক্ষে কথা বলে। এই হচ্ছে তার কথিত মানবতার গোমর।

যাই হোক, উপরের আলোচনা দ্বারা একটি বিষয় ক্লিয়ার-

বাংলাদেশে যারা কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে-

তাদের প্রত্যেকের কোন না কোন ভাবে মোসাদ কানেকশন আছে, কিছু আছে জায়ানিস্ট আর কিছু আছে ডাইরেক্ট ইহুদী। ইহুদীরা ডাইরেক্ট ফান্ডিং করে বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে বলে প্রচার চালাচ্ছে এবং এই প্রচার চালানোর উদ্দেশ্যও ভালো নয়, উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে ‍উগ্রবাদী রাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ করে বিদেশীশক্তিগুলোক ডেকে নিয়ে আসা, বাংলাদেশে আগ্রাসন সৃষ্টি করা এবং সর্বপরি বাংলাদেশকে স্বাধীনতাহীন করা।

তাই বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নামক প্রপাগান্ডার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া এবং যারা এ ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা চালিয়ে দেশকে স্বাধীনতাচ্যূতির দিকে ঢেলে দিচ্ছে তাদেরকে গ্রেফতার করা।

মোসাদ এজেন্ট নিয়ে নয়ন চ্যাটার্জীর লেখায় ‘মোসাদ’ নিয়ে অনেকের ধোয়াশা কেটেছে বলে মন্তব্য করেন স্ট্যাটাসে।