ফের বাড়ছে গ্যাসের দাম, দুই চুলার বিল ১২০০ টাকা করার প্রস্তাব!

রাজধানীর যেসব এলাকায় কাল গ্যাস থাকবে না

নিউজ নাইন২৪ডটকম, ঢাকা: গ্যাসের দাম ফের বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) ।

গ্যাস বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি কোম্পানি গৃহস্থালি ব্যবহারের ক্ষেত্রে দুই চুলার জন্য মাসিক বিল ১২০০ টাকা নির্ধারণের আবেদন করেছে। এক চুলার বিল হবে ১০০০ টাকা।

সিএনজির দাম ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব:

এছাড়া যানবাহনে ব্যবহৃত সিএনজির দাম ৬৬ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে বলে বিইআরসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে। এই হারে বাড়ানো হলে প্রতি ঘনমিটার সিএনজির দাম হবে প্রায় ৫৮ টাকা, যা বর্তমানে ৩৫ টাকা।

মাত্র সাত মাস আগে, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন দুই চুলার বিল ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা এবং এক চুলার বিল ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছিল।

জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, সরকার বাসাবাড়িতে নতুন করে গ্যাস-সংযোগ তো বন্ধ করেছেই, এখন পাইপলাইন গ্যাসের ব্যবহারও নিরুৎসাহিত করতে চায়। এ ছাড়া দেশের অধিকাংশ মানুষ পাইপলাইনের গ্যাস পায় না। তাদের অনেকেই বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করে, যার দাম অনেক বেশি। দুই ধরনের ব্যবহারকারীর মধ্যে বৈষম্য কমানোও সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। সে কারণেই বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম একটু বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়ে থাকতে পারে।

সূত্র জানায়, সরকার বাসাবাড়ির গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সেখান থেকে পাওয়া বাড়তি অর্থের একাংশ এলপি গ্যাস ব্যবহারকারীদের ভর্তুকি হিসেবে দেওয়ার কথাও ভাবছে। আর সিএনজির দাম বাড়ানো হবে যানবাহনে ব্যবহৃত তরল জ্বালানির (পেট্রল, অকটেন) দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য। এর আরেকটি উদ্দেশ্য দ্রুত কমে আসা দেশের গ্যাসের ওপর থেকে বাড়তি চাহিদার চাপ কমানো।

বিইআরসির সূত্র জানায়, এবার সব গ্রাহক শ্রেণির ক্ষেত্রেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। বাসাবাড়ি ও সিএনজি ছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো প্রয়োজন বলে আবেদন করেছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো।

বিইআরসির চেয়ারম্যান এ আর খান জানান, সব কটি কোম্পানির কাছ থেকেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব এসেছে। বিইআরসির অভ্যন্তরীণ বিশেষজ্ঞ দল এগুলো পরীক্ষা করে দেখছে। এতে মাস খানেক সময় লাগবে। এরপর প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণশুনানির আয়োজন করা হবে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, বিইআরসির গণশুনানি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। গণশুনানির সুপারিশ আমলে নেয় না সংস্থাটি।

এর আগে সব গ্রাহকশ্রেণির গ্যাসের দাম সর্বশেষ বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে। তারপর গত বছরের সেপ্টেম্বরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছিল।