ফেরি করে ফেনসিডিল বিক্রি!

ফেরি করে ফেনসিডিল বিক্রি!

নিজস্ব প্রতিবেদক: মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরে ঘুরে ফেনসিডিল বিক্রি করতো সে। কোথাও বিপদে পড়লে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা হিসেবে পরিচয় দিতো। মোবাইল ফোন বের করে দেখাতো কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তার ছবি। তবে শেষরক্ষা হয়নি।

গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকা থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিলসহ তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতার নাম শামসুদ্দিন আল আজাদ। সে সংগঠনের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক।

শেরেবাংলা নগর থানার ওসি জানে আলম মুনশী বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তি একজন ভ্রাম্যমাণ মাদক বিক্রেতা। মাদক বহনের জন্য তার মোটরসাইকেলে রয়েছে গোপন চেম্বার। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও মাদক সংক্রান্ত একাধিক মামলা রয়েছে। সে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বলে শুনেছি। তবে বর্তমানে কোনো পদে আছে কি না জানা নেই।

এদিকে কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ দাবি করছে, শামসুদ্দিন আল আজাদকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি কোনো ফাঁদও হতে পারে। কারণ সে একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। দুঃসময়ে সে নেতৃত্ব দিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে শুনলেও বিস্তারিত জানা নেই বলেও মন্তব্য করে এই নেতা।

পুলিশ জানায়, আগারগাঁও এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে একজন ফেনসিডিল বিক্রি করছে বলে খবর পায় পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। একপর্যায়ে তাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়। জব্দ করা হয় তার মোটরসাইকেল ও ১০ বোতল ফেনসিডিল। এ সময় ফেনসিডিল কেনার অভিযোগেও একজনকে আটক করা হয়।

তদন্ত সংশ্নিষ্টরা জানান, শামসুদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে দু’টি ও ঢাকায় একটি মাদক মামলা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, শামসুদ্দিন আল আজাদকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়ার জন্য তদবির এসেছিল; তবে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।