প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় পুনরায় কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে পাটকলগুলোতে

পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন ভাতা বৈশাখের ১তারিখের মধ্যে পরিশোধের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সেই  বকেয়া বেতন বুঝে পেয়ে কাজে যোগ দিয়েছেন খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ব ৭টি পাটকলের শ্রমিকরা। ফলে আবারও পূর্ণ রূপে প্রান ফিরে পেয়েছে পাটকলগুলো। কর্মচাঞ্চল হয়ে উঠেছে পাটকলের আঙ্গিনা।

শ্রমিকরা বলছেন, গত কয়দিনের অচল অবস্থার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে সেটা তারা অতিরিক্ত কাজ করে পুষিয়ে দিবেন। এছাড়া ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে পাটকলগুলোকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক নেতাদের মতে সব সময়ই গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় রাখতে হবে পাটকলগুলোকে। তাহলেই আরও উৎপাদনমুখি হবে রাষ্ট্রায়ত এই কারখানাগুলো।

এ প্রসঙ্গে পাটকল সিবিএ -নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের আহবায়ক সোহরাব হোসেন বলেন, প্রত্যেকের আয় যেন সৎভাবে হয়। বেতন বণ্টন যেন সচেতনতার মাধ্যমে হয়। আগামীতে যেন মিলগুলো ভালো চলে। মিলগুলো যেন অধিক উৎপাদনমুখি করে মিলগুলোকে লাভজনক পর্যায়ে নিতে পারি সেই চাওয়াই আমাদের।

বকেয়া মজুরির দাবিতে কাজে যোগ না দিয়ে সড়ক, রেল পথ অবরোধসহ নানা কর্মসূচী পালন করেন পাটকল শ্রমিকরা। আন্দোলনের মুখে গত মঙ্গলবার তাদের জন্য ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন সরকার।

উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে বলেন, ‘পাট শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের জন্য ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে দিন। আপনারা পহেলা বৈশাখ পালন করবেন, পাটকল শ্রমিকরা রাস্তায় থাকবেন- এটা হয় না। দ্রুত এ টাকা দিয়ে দিন। পহেলা বৈশাখের আগেই যেন তাদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হয়।’

এই ৩০০ কোটি টাকাসহ সর্বমোট ১ হাজার কোটি টাকা পাট মন্ত্রণালয়কে দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। যথাসময়ে বকেয়া বেতন পরিশোধ করার পর এখন কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে পাটকলগুলোতে।