পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন

কুড়িগ্রাম সংবাদাদাতা: কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় আড়াই লাখ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার (৩০ জানুয়ারি) গভীর রাতে ইউনিয়নের পোড়ার ভিটা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেন ১৩-১৪ বছর আগে বাড়ির পাশে ৪৪ শতক জমিতে একটি পুকুর খনন করেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছচাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন তিনি।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। সরাসরি ক্ষতি করতে না পেরে গেল রাতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে তারা। এতে পুকুরে থাকা প্রায় ১২-১৩ মণ মাছ মারা গেছে। যার মূল্য ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা।

মৎস্যচাষি আনোয়ার হোসেন বলেন, আগে আমার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি গ্রামে ছিল। গত ১৪-১৫ বছর আগে পোড়ার ভিটা এলাকায় বাড়ি করি। সেই সময় অনেক কষ্ট করে একটি পুকুর খনন করি। সে পুকুরে মাছ চাষ করে কোনোরকম সংসার চালাচ্ছি। এখানে বাড়ি করার পর থেকে প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতি করে আসছে। গেল রাতে তারা আমার পুকুরে বিষ দিয়েছে। এতে আমার পুকুরে থাকা ১২-১৩ মণ মাছ মারা গেছে। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। এখন আমার কী হবে। তারা আমাকে রাস্তায় নামিয়ে দিল। ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো পথ নাই আমার।

আনোয়ারের ছেলে জনি বলেন, আমি ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। আমার বাবা মৎস্যচাষি। এই ব্যবসা করেই আমার পড়াশোনার খরচ বহন করেন। মৎস্যচাষ করেই কোনোরকম সংসারটা চালাচ্ছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন রাতে বিষ দিয়ে পুকুরের মাছগুলো মেরে ফেলেছে। এখন আমাদের কী হবে? যারা পুকুরে বিষ দিয়েছে তাদের বিচার চাই আমি।
প্রতিবেশী একরামুল হক ও তৈয়ব আলী বলেন, আনোয়ার ভাই মাছ চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কে বা কারা রাতের আঁধারে তার পুকুরে বিষ প্রয়োগ করেছে। তার পুকুরে থাকা বেশির ভাগ মাছই মারা গেছে। যারা এ কাজ করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান শাহারিয়ার বলেন, ওই মৎস্যচাষি থানায় অভিযোগ দিলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।