পুকুরের চাষের মাছে মিলবে নদীর স্বাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথমবারের মতো ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুরু হয়েছে ইন পন্ড রেসওয়ে সিস্টেম অর্থাৎ আইপিআরএস পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ। এরইমধ্যে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মাছ চাষিদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে চাষ করা মাছে নদীর মতো স্বাদ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী মৎসচাষিরা।

পরিবেশবান্ধব ও অল্প জায়গায় পুকুরের চাইতে কয়েকগুণ বেশি মাছ উৎপাদন হওয়ায়, বাণিজ্যিক সম্ভাবনা ও বিদেশে রফতানির ব্যাপারেও আশাবাদী তারা।

জানা যায়, ২০০৭ সালে আমেরিকায় প্রথম চালু হয় এ পদ্ধতিতে মাছচাষ। আইপিআরএস বা পুকুরের মধ্যে প্রবাহমান পদ্ধতিতে মাছচাষের টেকসই একটি পদ্ধতি এটি।
বাংলাদেশে আইপিআরএস পদ্ধতিতে মাছচাষ শুরু করেছেন নবাব মৎস খামার প্রকল্পের সত্ত্বাধিকারী আকবর হোসেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নয়াগোলা বলুনপুর এলাকায় ৬০ বিঘা আয়তনের জলাশয়ে এ প্রকল্প চালু করেন।

নবাব মৎস খামারে এ পদ্ধতিতে স্থাপিত ১৩টি চ্যানেল রয়েছে। প্রতিটি ১২-২০ হাজার কাতল, গ্রাসকাপ মৃগেল, রুই মনোসেক্স, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস মাছচাষ করছেন আকবর, যা ৬০০ বিঘা আয়তনের পুকুরের সমান।

আকবর জানান, তার উদ্দেশ্য নদীর মাছের মতো স্বাদ পাওয়া ও অল্প জায়গায় বেশি মাছ উৎপাদন করা। প্রাকৃতিকভাবে গ্যাস তৈরি করে স্বাস্থ্যসম্মত, পরিবেশবান্ধব ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন। এরইমধ্যে জেলার বাইরের বিভিন্ন প্রান্তের মাছ চাষিদের মধ্যে সাড়া ফেলেছে এ পদ্ধতি। আর এ প্রকল্পে কাজ করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীদের।

রফিক নামের এক শ্রমিক বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি এ মৎস খামারে পার্ঁটাইম চাকরি করে নিজের খরচ চালাচ্ছেন। এছাড়া পরিবারকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা মৎস কর্মকর্তা ড. আমিনুল এহসান জানান, জেলা মৎস্য অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতায় ব্যক্তি উদ্যোগে শুরু হয়েছে এ পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের মাছের চাষ। অন্যান্য কৃষকরা এ পদ্ধতিতে মাছচাষ করলে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।

দেশের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা সঙ্গে সঙ্গে বিদেশে রফতানির ব্যাপারেও আশাবাদী এ মৎস্য কর্মকর্তা।