পারমাণবিক যুগে প্রবেশ করল সৌদি

০৭ নভেম্বর ২০১৮:পরমাণু প্রকল্পের কাজ শুরু করল সৌদি আরব। দেশটির প্রথম পরমাণু চুল্লির উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এ প্রকল্প শুরু হয়েছে। সোমবার প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর মাধ্যমে তেলসমৃদ্ধ দেশটি পারমাণবিক যুগে পা রাখল। বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পরমাণু প্রকল্পের দিকে ঝুঁকছে রিয়াদ। তবে ভবিষ্যতে তারা পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

আলজাজিরা জানায়, প্রথম পরমাণু চুল্লিটি নির্মিত হচ্ছে রিয়াদের কিং আবদুল আজিজ সিটি ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ক্যাম্পাসে। পরমাণু চুল্লির পাশাপাশি সেখানেই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ, আণবিক বিদ্যুৎ জেনেটিক মেডিসিন ও বিমান শিল্পের অন্তত সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন যুবরাজ। মধ্যপ্রাচ্যে একমাত্র ইরানকেই নিজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে সৌদি। মূলত তেহরানের মোকাবেলায় পরমাণু অস্ত্র অর্জন করতে চায় রিয়াদ।

চলতি বছর মার্চে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ঘোষণা দেন যুবরাজ। সে সময় সিবিএসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব পরমাণু অস্ত্র রাখতে চায় না। তবে ইরান পারমাণবিক বোমা বানালে আমরাও সেই পথই অনুসরণ করব।’

সৌদি আরবের বিকাশমান পরমাণু শিল্পের প্রযুক্তি উন্নয়নে গবেষণার জন্য সহায়ক হবে এ চুল্লি। গত বছর আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছিল, সৌদি আরব দুটি পরমাণু চুল্লি তৈরির জন্য প্রস্তাবনা গ্রহণ করছে।

২০৩২ সালের মধ্যে ১৭ দশমিক ৬ গিগাওয়াট পরমাণু শক্তি উৎপন্ন করতে চায় দেশটি। এজন্য তৈরি করা হবে ১৭টি চুল্লি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, সৌদি আরব বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রাকৃতিক জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে রফতানির পরিমাণ বাড়াতে চায়।