পানি বৃদ্ধি, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত

সিরাজগঞ্জ-বগুড়া সংবাদাদাতা: সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

রোববার সকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার আব্দুল লতিফ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে বিপদসীমার ১১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়ছে।

এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় শুরু হয়েছে তীব্র নদী ভাঙন। ইতোমধ্যেই চৌহালী উপজেলার বিনানইন গ্রামের রাস্তা, ব্রিজ, বসত ভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে বিনানইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের একটি মাটির বাঁধ দেবে গেছে। এই ইউনিয়নের পাচিলে অব্যাহত রয়েছে নদী ভাঙন। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি বসত ভিটাসহ বিস্তীর্ণ ফসলি জম নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

বগুড়ার যমুনা নদীতে ভাঙন:

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার কিছু স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে করে নদীপাড়ের মানুষদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীতে এখনো বিপদসীমার প্রায় ৩ ফুট নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে যমুনা নদীর ডান তীরের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ সারিয়াকান্দি এলাকার কামালপুর ইউনিয়নের যমুনা নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন গ্রামে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে। ওইসব গ্রাম এলাকার পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে বসবাসরত ২৫টি পরিবার ঘর-দোর অন্যত্র সরে নিয়ে গেছেন। এসব পরিবার পার্শ্ববর্তী হাওয়াখালী গ্রামের নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছেন।

এছাড়াও কামালপুর ইউনিয়নে টিটুর মোড় হতে কামালপুর ফকিরপাড়া, গোদাখালী, কামালপুর দক্ষিণপাড়া ও ইছামারা গ্রাম এলাকায় যমুনার নদীর ভাঙনে ইতিমধ্যেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সিসি ব্লক দিয়ে নির্মিত ৬০০ মিটার পাড় ধ্বসে গেছে।

কামালপুর ফকিরপাড়ার গ্রামের মোসলেম উদ্দিন বলেন, ভাঙ্গন এখন কম, তবে রাত করে যমুনা নদী ভাঙছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, এ এলাকায় নদীর ভাঙন নিয়মিত ঘটনা হলেও এখন আর সেটি নেই। তবে কামালপুর এলাকায় টুকটাক ভাঙন থাকলেও আশা করি প্রক্রিয়াধীন প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু হলে নদী ভাঙন একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।