পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার তত্ত্ব প্রয়োগ করছে ভারত?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:যুদ্ধের দৃষ্টি সরিয়ে নেয়ার তত্ত্বটি এমন একটি বিষয় যা বিতর্কিত ঘরোয়া ইস্যুগুলো থেকে জনগণের মনোযোগ আড়াল করে জাতীয় চেতনা বাড়িয়ে দিতে সঙ্ঘাতটি বিদেশে পঠিয়ে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ভারতের বিভিন্ন গ্রুপকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে দেশটি একেবারে প্রথম দিন থেকে এ কাজটি করছে। পাকিস্তান ও ভারতের ইতিহাসে এ তত্ত্বটির প্রয়োগের অনেক উদাহরণ দেখা যায়।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে হেগ থেকে অ্যাঙ্কর পারসন মিজ নিলাম আসলামের সাথে কথা বলার সময় ড. মুইদ পিরজাদা বলেন, ভারতের শীর্ষ নেতৃত্ব চায় পুলওয়ামা হামলা ও অন্যান্য ইস্যুকে পাকিস্তানের সাথে সম্পৃক্ত করে তাদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার উজ্জ্বল করতে। এই ইস্যুটির মাধ্যমে ভারত চায় ভারতের বিভিন্ন চরমপন্থী গ্রুপকে ঐক্যবদ্ধ করতে।
এয়ার মার্শাল শহিদ লতিফ বলেন, বিশ্বে পাকিস্তানের সাফল্য হজম করতে পারছে না ভারত। আইসিজেতে কুলভূষণ যাদব মামলাতে পাকিস্তান আজ ভারতকে পরাজিত করেছে। তারা এখন বিশ্বে প্রকাশ হয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ার মানসুর খান ও খাওয়াব কুরেশি মঙ্গলবার কুলভূষণ মামলায় পাকিস্তানের অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করার জন্য কূলভূষণকে পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল। কূলভূষণ মামলায় ভারত এখন হেরে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ভারতের জন্য এটি আরেকটি বিপর্যয়।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতকে বার্তা পাঠিয়েছেন। এগুলো আবারো বলা হয়েছে, পাকিস্তান একটি সার্বভৌম, স্বাধীন, শান্তিকামী এবং সবচেয়ে বড় কথা আত্মরক্ষা করতে সক্ষম একটি দেশ।
প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক এয়ার মার্শাল (অব.) শহিদ লতিফ ছিলেন অনুষ্ঠানে আরেক আলোচক। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে জনগণের মনোযোগ পাকিস্তানের দিকে সরিয়ে নিতে ভারত অতি পরিচিত, অনুমিত ও পুরনো ফর্মূলা প্রয়োগ করেছে।
প্রখ্যাত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ইকরাম সেহগাল এই বিতর্কে অংশ নিয়ে বলেন, উত্তর প্রদেশে শীর্ষ নেতা প্রিয়াঙ্কার উত্থান ভারতে মোদির রাজনৈতিক অবস্থানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে যাচ্ছে। মোদি হিন্দু প্রাধান্যপূর্ণ অঞ্চলে তার রাজনীতি উজ্জ্বল করার পুরনো কৌশল গ্রহণ করেছেন।
তিনি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হাইব্রিড যুদ্ধে হিন্দু বেল্টকে ব্যবহার করছেন। সেহগাল বলেন, ভারতীয় জনসাধারণ আন্তর্জাতিক ফোরামে পাকিস্তান, এর সঙ্গীত, এর তারকাদেরকে ঘৃণা করে। তবে প্যাকেজের জন্য ভারতীয় সঙ্গীত ব্যবহার করতে আমাদের ফোন কোম্পানিগুলো লজ্জা বোধ করে না।